ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারে ইউএস-বাংলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারে ইউএস-বাংলা

ঢাকা: পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরতে সক্ষম হবে। আর এই সম্ভাবনার অগ্রভাগে থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

কেননা বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতকারী প্লেন যাত্রীদের শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো পরিবহন করছে। আর এখানেই সুযোগ দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর, বিশেষ করে ইউএস-বাংলার।

দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট, সবচেয়ে বেশি গন্তব্য ও সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। উন্নত সেবা, সময়ানুবর্তিতা, যাত্রীদের নিরাপত্তা, সর্বোপরি আধুনিক ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে পরিচালিত এই এয়ারলাইন্সকে তুলে ধরেছে নতুন পরিচয়ে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স তার যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১১ হাজারের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটের মার্কেট শেয়ারের অর্ধেকের বেশি ইউএস-বাংলার। আর অনটাইম পারফরমেন্সের হার শতকরা ৯৮.৭ ভাগ। উন্নত যাত্রীসেবা, অনটাইম পারফরমেন্স আর সেফটির কারণে যাত্রীদের সরাসরি ভোটে ২০১৫ সালে ডমেস্টিক রুটে ‘বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন অব দ্যা ইয়ার’ হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইউএস বাংলা।

এই এয়ারলাইন্স প্রায় ৮০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস, টেইলারিং শপের ব্যবস্থা করেছে যা বাংলাদেশের প্রাইভেট এয়ারলাইন্সের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ডিজিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো কামরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যাত্রা শুরু করেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, কলকাতাসহ অন্যান্য রুটেও ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমাদের এ যাত্রা সম্মিলিত টীম ওয়ার্কের প্রতিচ্ছবি। আমাদের রয়েছে নয় জন বিদেশি দক্ষ প্রকৌশলীর সাথে উচ্চ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দেশীয় প্রকৌশলী। যারা প্রতি রাতে অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে সম্মানিত যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বিমানের যান্ত্রিক ও কারিগরী দিকগুলো পরীক্ষা করে থাকেন। আমাদের কাছে যাত্রীদের সেফটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেফটি ও অন টাইম পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কোন আপোস করে না। যাত্রীরা এ কারণে তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই ইউএস বাংলাকেই রাখেন।

অভ্যন্তরীণ রুটের বিভিন্ন গন্তব্যের নিয়মিত যাত্রী মনিরুল ইসলাম বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সেক্টরে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র, ইতিমধ্যে নক্ষত্রের আলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দিতে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিকভাবেও সুনাম অর্জন করবে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক হারুন জামিল বলেন, ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং অনটাইম পারফরমেন্সকে গুরুত্ব দেয়-যা সাফল্য অর্জনে সহায়তা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬

জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।