ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ঘোষণার দেড় যুগ পর ইন্টারন্যাশনাল হচ্ছে ওসমানী এয়ারপোর্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
ঘোষণার দেড় যুগ পর ইন্টারন্যাশনাল হচ্ছে ওসমানী এয়ারপোর্ট ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। ফাইল ফটো

সিলেট: আন্তর্জাতিক ঘোষণার দেড় যুগ পেরিয়েছে। এতোদিন নামে আন্তর্জাতিক থাকলেও বুধবার (১৫ মার্চ) পূর্ণতা পাচ্ছে সিলেট এমএজি ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। এদিন দুবাই থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ১৪৭ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট। ওসমানীতে সেটি অবতরণ করবে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দুবাইর উদ্দেশ্যে ফিরতি ফ্লাইট উড়বে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রথম ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের স্বাগত জানাবেন তিনি।

ওই প্লেনে ১৭৪টি আসনের মধ্যে বিজনেস ক্লাসে ১২, ইকোনমি ক্লাসে ১৬৫ আসন রয়েছে। বুধবার ইকোনমি ক্লাসে ১৪১ ও বিজনেস ক্লাসে ৬ জন যাত্রী সিলেট আসছেন।

ফ্লাইট চালুর প্রথম তিনমাসে সপ্তাহে পাঁচদিন দুবাই, সৌদি আরব, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে সপ্তাহের সাতদিনই নিয়মিত ফ্লাইট থাকবে।

সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার ৪টি ফ্লাইট উড়বে। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে ফ্লাই দুবাইর ৭টি ফ্লাইট এই এয়ারপোর্ট থেকে আসা যাওয়া করবে।   ফ্লাই দুবাই ছাড়াও এয়ার এরাবিয়া, জেট এয়ারওয়েজসহ আরো কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইন্স সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এয়ারপোর্টের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই আরো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করতে পারবে।

বিদেশি এয়ারলাইন্স ফ্লাই দুবাই অবতরণের মধ্য দিয়ে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের যাত্রীদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। এর ফলে যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি পর্যটন বিকাশেও বিনিয়োগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

এ প্রসঙ্গে সিলেট এয়ারলাইন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খোন্দকার শিপার আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ফ্লাই দুবাই চালুর মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সব দেশের বাংলাদেশি প্রবাসীরা ভায়া হয়ে সিলেটে আসতে পারবেন।

এর আগে ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে দেশের তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়। কিন্তু রিফুয়েলিং সুবিধা না থাকায় বিদেশি এয়ারলাইন্সেগুলোর কোন ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করেনি। ২০১৫ সালের ১ মে সিলেট থেকে ফ্লাই দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়েও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং জটিলতায় সেটা বন্ধ হয়ে যায়।  

প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে রিফুয়েলি স্টেশন স্থাপিত হয় ওসমানীতে। ২০১৬ সাল থেকে রিফুয়েলিং স্টেশন চালুও হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট না থাকায় চালুর পর থেকেই লোকসানে ছিল রিফুয়েলিং স্টেশন। এবার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের চুক্তির ফলে তাদের ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট সূত্র।

এছাড়া ওসমানী বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ওয়াইড বডি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের প্লেনসহ অন্যান্য ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘন্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এনইউ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।