ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

সততার অনন্য নজির ইউএস-বাংলার ২ কর্মীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
সততার অনন্য নজির ইউএস-বাংলার ২ কর্মীর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স/ফাইল ফটো

ঢাকা: সততা কখনও মানুষকে বঞ্চিত করে না। বুক ফুলিয়ে সদর্পে চলতে প্রেরণা যোগায়। সৎ সাহসই বাঙালির এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। সেটা প্রমাণ হলো আরও একবার।

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশিদের সততার নজির রয়েছে ভ‍ুরি ভুরি। সে হোক ট্যাক্সিচালক কিংবা শিক্ষার্থী।

এবার দেশের মাটিতে সততার অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্বল্প সময়ে যাত্রীসেবায় আস্থা অর্জনকারী বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার দুই কর্মী।

সোমবার (১ মে) দুপুর ২টায় কলকাতা থেকে ঢাকা ফেরা ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২০২ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় সাত কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করতে সহায়তা করলেন এয়ারলাইন্সটির দুই কর্মী। যার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

এয়ারলইন্সের কর্মীদের সহায়তায় স্বর্ণ উদ্ধারের এমন ঘটনা বিরল। স্বর্ণ উদ্ধারের সার্বিক কাজে অংশ নেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস ‘সি’ শিফটের ইনচার্জ সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন।

সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাধারণত কোনো গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্স থেকে বিভিন্ন সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণ উদ্ধার করেছি কিংবা করি। তবে এয়ারলাইন্স কর্মীদের সহায়তায় এভাবে স্বর্ণ উদ্ধারের কথা আমার জানা নেই। এজন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ও দুই কর্মীর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা।

এয়ারলাইন্সটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে সাইদুলসহ ছয় সদস্যের একটি দল স্বর্ণ উদ্ধারে যান। কলকাতা থেকে ফেরা প্লেনটির একটি সিটের নিচে থাকা একটি ব্যাগ থেকে স্কচটেপে মোড়া ছয়টি বান্ডেল থেকে ৬০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার প্রতিটির ওজন ১১৬ গ্রাম। মোট ওজন ৬ কেজি ৯ম ৬০ গ্রাম। মূল্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা। জানান এ কর্মকর্তা।

জানা যায়, প্লেনটি অবতরণ করার পার্কিংয়ে ছিলো। পরে ইউএস-বাংলার একজন ইঞ্জিনিয়ার ও পরিচ্ছন্নকর্মী প্লেনটি পরিষ্কার ও অন্যসব ঠিক আছে কিনা দেখতে গিয়ে সিটের নিচে ব্যাগটি পান। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতনদের জানান। কর্তৃপক্ষ তখন কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন এবং স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধারে সব ধরনের সহযোগিতা করেন।

সততার এমন দৃষ্টান্ত সবার জন্য উদাহরণ। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ যাত্রীসেবার পাশপাশি যে দক্ষ-সৎ কর্মীদেরও নিয়োগ দিচ্ছে তারও প্রমাণ এটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।