ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

আকাশপথে আস্থার নাম ইউএস-বাংলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
আকাশপথে আস্থার নাম ইউএস-বাংলা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ঢাকা: বেসারমিরক বিমান পরিবহন খাতে ইতোমধ্যে আস্থা অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। খুব কম সময়ে অভ্যন্তরীণ রুট ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রুটেও সুনামের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি। শুধু তাই নয় এয়ারলাইন্সটি কম সময়ের মধ্যে জায়গাও দখল করে নিয়েছে আকাশচারীদের মনে।

শৃঙ্খলা, সেবার দিক থেকে এটি দেশের মধ্যে অনন্য অবস্থানে পৌঁছে গেছে বললেও বেশি কিছু বলা হবে না। বোর্ডিং পাস থেকে শুরু করে টেক অফ পর্যন্ত ভ্রমণের সব পর্যায়েই রয়েছে ইউএস-বাংলার যত্ন আর আন্তরিকতা।

কেবিন ক্রুদের অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন আর সহযোগিতায় অত্যন্ত ‍খুশি মনেই শেষ হয় ভ্রমণ। বিদেশিদের কাছেও প্রথম পছন্দ ইউএস-বাংলা। এ কারণে সরকারি-বেসরকারি পরিবহন সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ইউএস-বাংলার এয়ারক্রাফট’র সংখ্যা।
 
‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৭৬ আসনবিশিষ্ট দু’টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দোহা, মাস্কাট, কাঠমুন্ডু ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে চারটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ ও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে।

২০১৮ সালের মধ্যে আরও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০, তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং দু’টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এয়ারক্রাফট বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশের প্রথম বিমানসংস্থা হিসেবে চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক গন্তব্য গুয়াংজুহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে সপ্তাহে প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে যাত্রা শুরুর পর থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৩৫ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করছে যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে রেকর্ড।
 
শনিবার (১০ মার্চ) দ্বিতীয়বারের মতো কাস্টমার সাকসেস সামিটের আয়োজন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এ সম্মেলনে ইউএস-বাংলার দেশি-বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নেবেন। দেশি-বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে সেতুবন্ধন, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসাকে উৎসাহিত করাই এ সম্মেলনের লক্ষ্য।
 
সম্মেলনে দেশের বাইরে থেকে বিশেষ করে কাতার, ওমান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভারত থেকে ইউএস-বাংলার প্রায় দুই শতাধিক ট্রাভেল পার্টনার অংশ নেবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী থেকে প্রায় ছয় শতাধিক ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেবেন।
 
শনিবার কক্সবাজারের লংবিচ হোটেল বলরুমে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।

সম্মেলনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনিয়ট প্রিফনটেইন, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতারা ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সামিটে উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে রয়েছে বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড, ট্রাভেল ও কর্পোরেট পার্টনারদের সঙ্গে ইউএস-বাংলার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ফানুস ফেস্টিভালসহ আরও অনেক ইভেন্ট। এছাড়া ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে যারা বেস্ট সেলার নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
ইইউডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।