ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিমানের আকাশে ডানা মেলার বছর

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৯
বিমানের আকাশে ডানা মেলার বছর আকাশে ডানা মেলার বছর বিমানের

ঢাকা: সুদিন ফেরাতে ২০১৯ সালকে ডানা মেলার বছর হিসেবে নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরই অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণের উদ্যাগে নেয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় এ এয়ারলাইন্সের বহরে চলতি বছরেই যুক্ত হচ্ছে নতুন ৪টি উড়োজাহাজ। সেবার মান বৃদ্ধি করে যাত্রীদের মন জয় করতে চায় এই সংস্থাটি।

বিমান সূত্র জানায়, দীর্ঘমেয়াদী ঋণে চলতি বছরেই যুক্ত হবে চারটি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ। এর মধ্যে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ দুটি উড়োজাহাজ এপ্রিল মাসেই যুক্ত হবে।  

আর এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক দুটি ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উড়োজাহাজ। এরই মধ্যে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রিমলাইনার দুটির নামকরণও করেছেন। এগুলো হচ্ছে- রাজহংস ও গাংচিল।  

নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হলে বিমানের বহরে মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা  হবে ১৭টি; এর মধ্যে নিজস্ব এয়ারক্র্যাফ্টের সংখ্যা হবে ১০টি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আধুনিক সেবার পাশাপাশি বিশ্বের খ্যাতনামা এয়ারলাইন্সের মতো ব্যবসায় সফল হতে চায় বিমান। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে। আগামী হজ মৌসুমে ৬৫ হাজার যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আগামী ৩১ মার্চ থেকে সকল ফ্লাইট দ্বিগুণ করা হচ্ছে।  

ফ্লাইট সূচিতে কুয়ালালামপুরে সপ্তাহে ৭টির জায়গায় ১৪টি, সিঙ্গাপুরে ৭টির জায়গায় ১০টি, রাজশাহী, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামে ৭টির জায়গায় ১৪টি করা হচ্ছে।  

কর্মকর্তারা বলেছেন, গতবছর বিমান প্রায় ২৬ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। যা আগের বছরের চেয়ে ৭ লাখ বেশি।

সূত্র জানায়, আগামী মে মাসে চীনের বাণিজ্যিক নগরী গুয়াংঝুতে ফ্লাইট চালু করতে চায় বিমান। এ নিয়ে চীনের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ফ্লাইট অপারেশনের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে মে মাসের আগেই অনুমতি পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

পরবর্তীতে মদিনা, দিল্লি ও কলম্বোতে ফ্লাইট চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ সংস্থার। সেপ্টেম্বরে ড্রিমলাইনার যুক্ত হলে লন্ডনে প্রতিদিন সরাসরি ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে।  

এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া স্পেশাল ডেডিকেট কার্গো চালু করতে একিট কমিটি গঠন করে দিয়েছে বিমান পরিচালনা পর্ষদ। কমিটির প্রধান হচ্ছেন জি এম রেজভি।

এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বাংলানিউজকে বলেন, দেশের অর্থনীতির জিডিপি ৭ এর উপরে বেড়েছে।  জিডিপি অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ায়। জিডিপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে  ভ্রমণকারীর সংখ্যাও দ্বিগুণ অর্থাৎ ১৪ শতাংশ বাড়ছে। ব্যবসা, পর্যটন ও যোগাযোগ বাড়ার বিষয়টি কথা মাথায় রেখেই এ পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ২০০৮ সালে বিমান সবচেয়ে বড় চুক্তি করে। সেই অনুযায়ী ৮টি এয়ারক্র্যাফ্ট পেতে ১০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। তাই ভবিষ্যতের কথা  মাথায় রেখে শিগগির  নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট কেনার চুক্তিতে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
টিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।