ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

আকাশপথে বাড়ি ফেরার ধুম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৯
আকাশপথে বাড়ি ফেরার ধুম আকাশপথে বাড়ি ফেরার ধুম। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা : বাঙালির শেকড় গ্রামেই। জীবিকার সুবাদে শেকড় ছেড়ে শহুরে বাস করেন কোটি মানুষ। ঈদ আসলেই নিজের শেকড়ে ফেরেন সেই বাঙালি মুসলিমরা। 

রাজধানী ঢাকা শহর থেকে উৎসবে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে বাস-ট্রেনের পাশাপাশি আকাশ পথে ভ্রমণেও যাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তেমনি আসন্ন ঈদুল ফিতরে আকাশপথে বাড়ি ফেরার ধুম পড়েছে।

     

শনিবার (১ জুন) আকাশ পথে বাড়ি ফেরা লোকজনের বেশ ভিড় দেখা গেলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে।  

অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী চার দেশি এয়ারলাইন্সের ৬১টি ফ্লাইট আজ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে উড়াল দেবে। বাস-ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় থাকলেও আকাশ পথে ভ্রমণে সেই দূর্ভোগ নেই। নির্ধারিত সময়েই সব'কটি ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।  

জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরে ৭টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। শনিবার এই ৭ গন্তব্যে ঢাকা থেকে ১০টি ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। এসব ফ্লাইটে কোন সিট ফাঁকা যায়নি। ঈদে যাত্রীদের বেশ চাপ বলেও জানালেন বিমানের এক্সিকিউটিভ তাহসিনা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকটি রুটে বড় উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তারপরও যাত্রীদের টিকিট দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।  আকাশপথে বাড়ি ফেরার ধুম।  ছবি: জি এম মুজিবুরদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ ৭ রুটে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। তার মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায় ২২টি ফ্লাইট। শনিবার দুপুরে ইউএস-বাংলার কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের বেশ ভিড়। বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।  

ইউএস-বাংলার এক্সিকিউটিভ ফেরদৌস আহমেদ জানান, সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে বড় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে আসন ১৬৪। বাকি রুটে ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরা যাত্রীর বেশ চাপ। কোনো ফ্লাইটে সিট খালি নেই। অভ্যন্তরীণ রুটে অনেক চাহিদা রয়েছে।  

অভ্যন্তরীণ রুটে দিনে সর্বাধিক ৪৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে নোভো এয়ার। ঢাকা থেকে ২৩টি ফ্লাইট গমন করে ও ২৩টি আগমন করে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে নোভো এয়ার। এয়ারলাইন্সটির এক্সিকিউটিভ ফারহান বলেন, আকাশপথে দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় প্লেনে বাড়ি ফেরা বেছে নেন অনেকে। আকাশপথে বাড়ি ফেরার ধুম।  ছবি: জি এম মুজিবুরএছাড়া আরেক বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজ শুধু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ফ্লাইট পরিচালনা করে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী ঘরমুখো মানুষের অনেকেই রিজেন্টে যাত্রা করছেন।  

কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি সপ্তাহ খানেক আগে ৩ হাজার ৬শ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। প্লেনে ভ্রমণ করলে সময় বাঁচে এবং দ্রুত যাওয়া যায়। তাই প্লেনেই বাড়ি ফিরছি।

সানজিদা হক স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন, যাবেন সৈয়দপুর। ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের এ কর্মকর্তা বলেন, সৈয়দপুর যেতে বাসে যে ঝক্কি ঝামেলা, আর ট্রেনে টিকিট পাওয়াই মুশকিল। তাই আকাশপথেই বাড়ি যাচ্ছি।

জানা গেছে, সবগুলো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সময় মতোই বিভিন্ন গন্তব্যে উড়াল দিচ্ছে। ফলে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময় ০৮১০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯ 
টিএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।