ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

‘আবুধাবি ইমিগ্রেশনের অস্পষ্টতায় ১১২ যাত্রীকে ফেরত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
‘আবুধাবি ইমিগ্রেশনের অস্পষ্টতায় ১১২ যাত্রীকে ফেরত’

ঢাকা: আবুধাবির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অস্পষ্টতার কারণে ১১২ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর দেশে ফিরতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।  

তিনি বলেন, গত ১৪ ও ১৬ আগস্ট ১১২ যাত্রীকে ফেরত পাঠায় আবুধাবি কর্তৃপক্ষ।

ইমিগ্রেশন জটিলতার কারণে মূলত তাদের ফেরত পাঠানো হয়। তাদের পলিসিতে এখনো অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।  

বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২টায় বেবিচক সদর দপ্তরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।  

মো. মফিদুর রহমান বলেন, ওইদিন শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় যাত্রীদেরও ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আবুধাবি কর্তৃপক্ষ হঠাৎ দেশটিতে প্রবেশ পলিসিতে পরিবর্তন আনে। কিন্তু সেই পলিসির আগাম তথ্য জানায়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। পুরাতন নিয়মেই যাত্রীরা আবুধাবি যান। ফলে ইমিগ্রেশন জটিলতার কারণে এ ঘটনা ঘটে।  

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি প্রদেশের মধ্যে আবুধাবিতে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ, তাদের স্ট্যাটাস জানার জন্য একটি লিংক দেওয়া হয়। কিন্তু বিমান, এয়ার অ্যারাবিয়া ও যাত্রীরা স্ট্যাটাস যাচাই করেননি। ফলে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়।  

‘১৪ আগস্টের ফ্লাইটে বিমান ও এয়ার অ্যারাবিয়ারও কিছু ক্রটি ছিল। আবার আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানায়নি আবুধাবি কর্তৃপক্ষ। কেউ আবুধাবি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পায়নি। মূলত ইমিগ্রেশনের অস্পষ্টতার কারণে এসব যাত্রীদের ফিরতে হয়। ’ 

মো. মফিদুর রহমান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যারাবিয়া সুস্পষ্ট কোনো ক্লিয়ারেন্স পায়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাত মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম রাষ্ট্র, যারা কোভিড-১৯ এর সময়ে কর্মীদের প্রবেশ করার সুযোগ দিয়েছে। যদিও তারা বিভিন্ন ক্যাটাগরি দিয়েছে। তবুও আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা প্রথমে সাধারণ শ্রমিক ক্যাটাগরিতে প্রবেশের অনুমতি দিলেও পরে কৌশলের আশ্রয় নেয়।  

তিনি বলেন, দেশটিতে প্রবেশে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার দরকার ছিল, সেটা তারা করেননি, কিছু কাগজপত্রের ঘাটতি ছিল। এখন যারা যাবেন, দেশটির কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত লিংকে গিয়ে স্ট্যাটাস যাচাই করে যেতে পারবেন।  

‘প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের ফেরত যেতে স্ট্যাটাসে পরিবর্তন এনেছে। তাদের পলিসির ভেতরে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। ’ 

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, তদন্ত কমিটি কিছু সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট দেশের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আপডেট তথ্য জানাবে। অনলাইন ওয়েবপোর্টাল চালু করা যেতে পারে, এটা ভালো প্রস্তাব। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটা করবে। আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে যাত্রীদের ফেরত পাঠাতে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। সরকারিভাবে তাদের পাঠাতে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাঠানো যেতে পারে। তথ্যপ্রবাহ গতিশীল করা যেতে পারে। এ ঘটনায় বিমান ও এয়ার অ্যারাবিয়ারও আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছে।  

মো. মফিদুর রহমান আরো বলেন, উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। যদি তাদের কারণে ঘটতো, তাহলে অবশ্যই বিমানকে দায়ভার নিতে হতো। মূলত আবুধাবি কর্তৃপক্ষের অস্পষ্টতায় কর্মীদের ফেরত পাঠানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।