ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

দেশের আকাশে ডানা মেলার অপেক্ষায় ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
দেশের আকাশে ডানা মেলার অপেক্ষায় ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’ ইমরান আসিফ

দেশের অভ্যন্তরে বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’। বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ফ্লাইট পরিচালনার সেই শুভক্ষণ।

যাত্রা শুরুর লগ্নে ফ্লাইট পরিচালনা এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন নতুন বেসরকারি এই এয়ারলাইনসটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ।  

উত্তরায় এয়ার অ্যাস্ট্রার কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ইসমাইল হোসেন ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাছুম কামাল। ছবি নিয়েছেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জিএম মুজিবুর।  

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো-

বাংলানিউজ:কেমন আছেন, এয়ার অ্যাস্ট্রার যাত্রা শুরু হচ্ছে, কেমন লাগছে

ইমরান আসিফ: জ্বী, ভালো আছি। এটা অবশ্যই আনন্দের ব্যাপার যে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করছি।

বাংলানিউজ: যাত্রীরা কেন অন্য সংস্থার বদলে আপনাদের সঙ্গে ভ্রমণ করবেন বলে মনে করেন? 

ইমরান আসিফ: যেকোনো মার্কেটে হয় কী, অপশন চয়েজ যদি বেশি থাকে প্যাসেঞ্জাররা বেনিফিটেড হয়। দেখেন, ডমেস্টিকে আমাদের কিন্তু খুবই শর্ট ফ্লাইট। রুট ছোট, ৪০-৪৫ মিনিটের। এত শর্ট ফ্লাইটে কিন্তু খুব বড় ডিফারেন্স তৈরি করা যায় না। আমরা তো জার্নি টাইমে অনেক খাওয়া-দাওয়া দিতে পারবো না। সো, করার তেমন কিছু নাই৷ তার ওপর আমাদের একটা লিমিটেশন আছে, ইনফ্রাস্ট্রাকচারের। ধরেন, আমি কোনো একটি লাউঞ্জে প্যাসেঞ্জারকে একটু আলাদা বসার জায়গা করে দেবো। কিন্তু, সে রকম জায়গা ঢাকার ডমেস্টিক টার্মিনালে নাই, হয়তো ভবিষ্যতে হবে। অনেক দেশে থাকে। কাজেই এরমধ্যেই আমাদের চেষ্টা করতে হবে বেস্ট সার্ভিসটা দেওয়ার। এয়ার অ্যাস্ট্রা কেন মানুষ পছন্দ করবে? কারণ ইটস আ ডিফারেন্ট চয়েজ। মানুষজন এখন অনলাইনে টিকিট বেশি কেনে। অফলাইন আউটলেট থেকে খুব কম মানুষই টিকিট কেনে। সেলস অফিস থেকে যেটা দেওয়া হয়, সেটা হচ্ছে আফটার সেলস সার্ভিস। তার মানে কী দাঁড়ালো, কাস্টমারদের সঙ্গে আমাদের ইন্টারেকশনটা হচ্ছে এয়ারপোর্টে, চেক ইন বা ফ্লাইটে৷ তো, আমি মনে করি এই জায়গাটাতে বিশেষত্ব তৈরি করার সুযোগ আমাদের আছে। এয়ারপোর্ট স্টাফিং করার সময় আমরা খুব কেয়ারফুলি করেছি। যেখানে এক্সপেরিয়েন্স বলেন, এডুকেশন বলেন- এই জায়গা থেকে আমরা অনেক সতর্কভাবে নির্বাচিত করে থাকি। একই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব বিশাল ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। যেটাতে প্রায় সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে। এরমধ্যে আমরা আমাদের কাস্টমার সার্ভিস থেকে শুরু করে প্রায় সব ডিপার্টমেন্টের স্টাফদের ট্রেনিং করিয়েছি। আমরা মনে করি, এই জায়গাটাতেই অন্যদের থেকে এয়ার অ্যাস্ট্রা আলাদা। এটাই আমাদের মূল বিশেষত্ব। এটা কাস্টমাররা এয়ারপোর্টে এলেই ফিল করবেন বলে মনে করি।

বাংলানিউজ:পরবর্তীতে কোন কোন রুটে ফ্লাইট চালু হচ্ছে?

ইমরান আসিফ: নিয়মানুযায়ী এওসি পাওয়ার পর ১ বছর ডমেস্টিকে ফ্লাইট অপারেট করতে হয়। আমরা সেভাবে করছি। যদিও আমরা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার দিয়ে শুরু করছি, একমাত্র বরিশাল রুট ছাড়া সবগুলো রুটেই আমরা ফ্লাইট পরিচালনা করবো। ইন দ্য মিন টাইম যদি নতুন কোনো এয়ারপোর্ট চালু হয় যেমন- ঠাকুরগাঁও বা ঈশ্বরদীর কথা আমরা শুনছি, সেগুলোতেও আমরা ফ্লাইট অপারেট করবো। পাশাপাশি পয়েন্ট টু পয়েন্ট অর্থাৎ ঢাকায় না এসে সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম বা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার। এই মার্কেটগুলোও আমরা এক্সপ্লোর করবো আগামী বছরের মধ্যেই।

বাংলানিউজ: ইউনাইটেড, রিজেন্ট এয়ার, জিএমজি এয়ারলাইনসের মতো বেশ কিছু কোম্পানি নিজেদের ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এটা জেনেই তো এসেছেন, সফল হতে আলাদা করে কী ভাবছেন?

ইমরান আসিফ:ব্যাপারটা এখানে সিম্পল। যে এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, এদের বন্ধ হওয়ার কারণ কি মার্কেট? নো। যদি মার্কেট হতো, তাহলে এখন যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও থাকতে পারতো না। ইন ফ্যাক্ট, এয়ার ট্রাফিকের ভলিউম বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর ১২-১৪ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ইকোনমিক গ্রোথ হয়েছে ৬ শতাংশ গত ১ দশকে। কাজেই ইকোনমিক গ্রোথের প্রায় ডাবল এই গ্রোথ। এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ হয়ে গেছে নট বিকজ অব কমার্শিয়াল ফিজিবিলিটি, বন্ধ হয়ে গেছে মূলত একটা হচ্ছে কম্পলাইন্সের জায়গা, ওখানে কম্প্রোমাইজ করা। কারণ, কম্পলাইন্স এমন একটা জায়গা, যেটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস এমন একটা জায়গা, এর থেকে বেশি রেগুলেটেড কোনো ব্যবসায় পৃথিবীতে নেই।  
বাজারের অবস্থা, সরকারি নীতিমালা, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট রেগুলেশন এই সমস্ত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আপনাকে কন্সটেন্টলি মুভ করতে হবে। যে সমস্ত এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেছে, তারা এওসি পেয়ে সার্ভিস শুরু করা পর্যন্ত কমপ্লায়েন্স ছিল। সার্ভিসে ঢোকার পরে আর এটা কন্টিনিউ করে নাই। আপনাকে এটা রিচ করতে হবে। এটা হচ্ছে কারণ। আমি নিজেও এটার উইটনেস। আরেকটা বিষয় হচ্ছে প্ল্যানিং। প্ল্যানিং করার জন্য আপনাকে অনেকগুলো ভ্যারিয়েবল ইস্যু অ্যানালাইসিস করতে হবে। মার্কেট, জিওপলিটিক্যাল আরও কিছু বিষয় আছে। প্ল্যানিং এর ক্ষেত্রে মার্কেটের ফিজিবিলিটি কি, মার্কেট চেঞ্জ হবে কিনা সব খুব কেয়ারফুলি দেখতে হবে। এক্ষেত্রে প্ল্যান হয় ৫-১০ বছরব্যাপী। এরপর আসেন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে একটা বড় অ্যামাউন্ট আসে, ফরেন কারেন্সি থেকে। বাংলাদেশে এখন ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১১৬ টাকা হয়েছে। এটাতে লোকাল এয়ারলাইনসের যে সেল ডলারে হচ্ছে, সেক্ষেত্রে লোকাল এয়ারলাইনসের কিছুটা লাভ হচ্ছে। আবার, আমি যে প্লেনের ভাড়া দিই, সেটাও আবার ডলারে পরিশোধ করতে হচ্ছে। সো দেয়ার ইজ আ ট্রেড অব। আপনি যদি ইউএস বাংলার কথা চিন্তা করেন, তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে, সো তাদের কম হলেও ডলারের ইনকাম আছে। আমরা যেহেতু শুধু ডমেস্টিক ফ্লাইট পরিচালনা করছি এখন, আমার কিন্তু কিছুই থাকবে না। একমাত্র যদি বিদেশি প্যাসেঞ্জার ওয়েবে বুকিং করে, তাতে হয়তো কিছুটা ফরেন কারেন্সি আসবে। কিন্তু, সেটা কত শতাংশ, যা অলমোস্ট নিল। আমাদের চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে ফান্ডিং নিয়ে। বাংলাদেশের ডলারের রেট যদি চেঞ্জ হয়, কতখানি হবে, কীভাবে হবে সেটার একটা ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) আছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি বলবো না আমরা সব জানি, তবে আমাদের অপারেটিং-এর যে অভিজ্ঞতা, সেটা আমাদের বর্তমান পরিকল্পনার জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।  

বাংলানিউজ: এয়ার অ্যাস্ট্রার পুরো জার্নির গল্পটা সংক্ষেপে শুনতে চাই।

ইমরান আসিফ: ২০২১ এর ১৫ জুলাই আমরা কোম্পানি লঞ্চ করি। তখন তো করোনা মহামারি, নতুন রেগুলেশন অনুযায়ী একটা প্রি-এপ্লিকেশন মিটিং করতে হয়। আমি এবং আরও ৩-৪ জন মিলে সেই মিটিংটা করি, জুমে। এরপর আমরা এনওসির (নোট অব ক্লিয়ারেন্স) আবেদন করি সেপ্টেম্বরে। ৪ নভেম্বর, ২০২১ আমরা এনওসিটা পাই। এই এওসির প্রসেসিং, ডকুমেন্টেশনের জন্য আমাদের এক বছর সময় লাগে। নতুন রেগুলেশন অনুযায়ী এনওসি পাওয়ার এক বছরের মধ্যেই এওসির জন্য আবেদন করতে হয়। তো, আমরা এওসি পেলাম সেপ্টেম্বর কিংবা অগাস্ট ২০২২ নাগাদ। এরমধ্যে আবার এয়ারক্রাফট অ্যাড করতে হয়। ঢাকায় এনে সেটার কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে তারপরই মূলত এওসি পেলাম। এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুর দিকে আমাদের থার্ড এয়ারক্রাফটটা আসবে। ফোর্থ এয়ারক্রাফটটা আসতে-আসতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ। এই চারটি আমাদের এ বছর। সামনের বছর একটা অ্যাড হবে, এরকম একটা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি।  

বাংলানিউজ: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা

ইমরান আসিফ: এখন যে ডমেস্টিক রেগুলেশন অনুযায়ী আমরা এক বছর ডমেস্টিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবো, এরপর ইন্টারন্যাশনাল রুটের জন্য অ্যাপ্লাই করতে হয়। অ্যাপ্লাই করার পর যে প্রসেসটা ওটা শেষ করে বড় এয়ারক্রাফট এনে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে-করতে আরও এক বছর লাগবে। কারণ, অথরিটিকে আমি চিঠি দেবো, এরপর তারা সেটা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে, তখন আমাদের ডাকবে। এরপর তারা সন্তুষ্ট হলে তারা সুপারিশ করবে। এরপর আবার সেটা সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির কাছে আসবে। এরপর যে দেশে ফ্লাইট চালু করতে চাই, তাদের জানাবো। এরপর আমি এয়ারক্রাফট লিজ নেবো। সব মিলিয়ে বেশ লম্বা সময়ের দরকার হবে।  

বাংলানিউজ: করোনার সময়টার পরপরই তো এয়ার অ্যাস্ট্রার জন্ম। আবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক একটা চ্যালেঞ্জ এখন সামনে। তো সব মিলিয়ে কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবেন

ইমরান আসিফ: এয়ারলাইনস বিজনেসটা গ্লোবালি সব সময় এটা সাইক্লিক। এটার আপ টার্ন এবং ডাউন টার্ন থাকে৷ এটা নির্ভর করে হচ্ছে ইকোনমিক গ্রোথ, পলিটিক্যাল স্ট্যাবিলিটি থাকবে যে এটা ন্যাচারাল। আমরা কোভিডের সময়ে যখন শুরু করেছিলাম, আমার কাছে একটা সুযোগ ছিল, ইন্ডাস্ট্রি হয়তো বন্ধ হয়েছিল, বাট এয়ারক্রাফট যারা লিজ দেন, তারা কোথাও প্লেস করতে পারছিলেন না। এপ্রিল ২০২০-এ কোভিডের একদম পিক সময়ে ৬৭ ভাগ এয়ারলাইনস তখন বসে আছে। যেগুলো চলছিল, ওটাও দেখা গেছে যে সারাদিনে হয়ত ২ ঘণ্টা ফ্লাইট চালিয়েছে। লিজ যারা দেয়, তারা তো একদমই ডেসপারেট লিজ দেওয়ার জন্য তখন। প্লেন তো বসে আছে। আমরা এরকম একটা সময় ছিল। আমরা ইনিশিয়াল প্ল্যানটা ওখান থেকেই শুরু করি। এই সুযোগটাই আমরা নিতে চেয়েছিলাম। অন্য সময়ে লিজিং-এর জন্য খুব কঠিন শর্ত থাকে। আমরা সেক্ষেত্রে অনেক সুযোগ পেয়েছি। এখন যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে আছে, ডলারের দাম, ফুয়েলের দাম এগুলো কিন্তু কোভিডের চেয়ে কম না। কিন্তু, তার মানে এই না যে আমরা বর্তমান সোশ্যাল ইকোনমিক এই ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে পারবো না। আজ যদি-রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, কালকে কিন্তু খুব দ্রুত এই সিচুয়েশন থেকে রিকোভার করতে পারবো। এই যুদ্ধের কারণে ইউরোপ-রাশিয়া ইমপ্যাক্টেড। তারা নিজেদের কারণেই এই যুদ্ধ বন্ধ করবে।

বাংলানিউজ: এই খাতে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করছেন বা সরকারের কাছে আপনাদের চাওয়া কী

ইমরান আসিফ: তেলের দামটা ঠিক করতে হবে। দুইটা জিনিস বলি। এটা সবাই বলছে এক কথা। ১০০ টাকা আর হচ্ছে ১২৫ টাকা। এই ২৫ টাকা কমের ফ্যাভরটা (সুবিধা) দেওয়া হচ্ছে ফরেন ক্যান্ডিডেটকে। কেন ভাই, আমরা কী দোষ করেছি? তেল তো বাংলাদেশ ইমপোর্ট করে। তো তেল আমরা ইমপোর্ট করে কম দামে দিচ্ছি বিদেশিদের, আর বেশি দামে দেচ্ছি দেশিদের কাছে। যদি আমাদের সাবসিডি (ভর্তুকি) না দেন, সমান-সমান করে দেন। এটা একটা। আরেকটা হচ্ছে সারচার্জ। আমাদের এখনকার যে রেগুলেশন, আর আগের যে রেগুলেশন দুইটা রেগুলেশনে খুব ক্লিয়ারলি বলা আছে, বেবিচকের কাছে যে দেনা আছে, সেটা পরিশোধ না করা হয় তাহলে এওসি রিনিউ হবে না। এই আইনটা যদি আপনি শক্ত করে প্রয়োগ করেন, এবং সারচার্জ ৭২ শতাংশের জায়াগায় ৫ শতাংশে নিয়ে আসেন, তাহলে সবাই টাকা দিয়ে দেবে৷ যখন আপনি ৭২ শতাংশেই রাখবেন এবং আপনি আইনের প্রয়োগও কড়াকড়ি করতে পারবেন না, তখন আপনি দেনাটা জমানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন। এই দেনার চাপে পড়ে এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তখন সরকারেরও কোনো লাভ কিন্তু হচ্ছে না। এই জায়গাটায় ইম্প্রুভ করার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলানিউজ: সিইও হিসেবে আপনার উঠে আসার গল্পটা শুনতে চাই।

ইমরান আসিফ: আমি বোয়িং এ কাজ করতাম ঢাকায় এজ অ্যা প্রোগ্রামার। আমার অ্যাকাডেমিক পড়াশুনাটাও ছিল আইটি নিয়ে। তো, ওই কাজের সুবাদে আমার অ্যাভিয়েশন নিয়ে একটা ইন্টারেস্ট ছিল, সেখান থেকে অনেক কিছু জানাশোনা নিয়ে৷ তখন একটা ব্লগ ছিল অনলাইনে স্কাইস্ক্র্যাপার নামে। ওই ব্লগে আমি নিয়মিত লিখতাম, পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতাম। এই লেখালেখির মাধ্যমে মানুষ মূলত আমাকে চিনতে শুরু করে। এরপর ২০০৯ সালে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ আমাকে অফার করে যে আমরা একটা এয়ারলাইনস শুরু করতে চাই। আমি সেখানে প্রথমে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করি, অর্থাৎ তারা কীভাবে কাজ শুরু করবে- এ বিষয়ক পরামর্শ দিতাম। পরে তারা আমাকে সিইও হিসেবে নিয়োগ করে। এরপর ২০১৩ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়৷ আমি ইউএস বাংলায়ও চার বছর কাজ করি। আর এখন তো এয়ার অ্যাস্ট্রায়। আমার একটা সময়ে গান-বাজনার প্রচুর শখ ছিল। মিউজিক করতাম। এই ফাঁকে ২০১৩ সালে আমি পিএইচডি কমপ্লিট করি আমেরিকার এমব্রি রিড্যাল এরোনেটিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে। এটাই বলতে পারেন একমাত্র অ্যাভিয়েশন রিলেটেড অ্যাকাডেমিক অ্যাচিভমেন্ট।

বাংলানিউজ: অনেক ধন্যবাদ।

ইমরান আসিফ: বাংলানিউজ ও আপনাদেরও অনেক ধন্যবাদ। সবার সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই, আপনাদের মাধ্যমে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে আমাদের সঙ্গে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার।  

 বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এমকে/এমআইএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।