ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

আগামী নির্বাচনে ইভিএম সমর্থন করে আ’লীগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
আগামী নির্বাচনে ইভিএম সমর্থন করে আ’লীগ

ঢাকা : আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইভিএম একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা ইভিএম পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব সমর্থন করি।

ওবায়দুল কাদের শনিবার (১৩ মে) চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী সমিতির জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহানগর নাট্যমঞ্চে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ইভিএম এর মতো একটা ভাল পদ্ধতির বিএনপি বিরোধিতা করছে। আমরা মনে করি, ইভিএম একটি আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর, ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হলে ভাল হয়। তবে এটা চালু করা, না করা নির্বাচন কমিশনের ব্যপার। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের ডাকলে আমরা ইভিএম চালুর পক্ষে মত দেবো। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনে ইভিএম চালু করার মত দিয়েছেন। আমরা সজিব ওয়াজেদ জয়ের এ মতামতকে সমর্থন করি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন আওয়ামী লীগের ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ এর অনুকরণ করে আরেকটি নকল ভিশন দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার নকল ভিশন-২০৩০ এর লক্ষ্যটা কি। তাদের নাকি এর আগেও একটি ভিশন ছিলো যেটা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেটা হলো ২০০১ এর ভিশন। তাদের ২০০১ সালের ভিশন ছিলো হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন। এটা নাকি তাদের ভিশন ছিলো।

তখন আমরা কি দেখেছি, আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছিলো। যারা হওয়া ভবন, খাওয়া ভবন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার বানিয়েছিলো তাদের হাতে কি গণতন্ত্র নিরাপদ। তারা যে ভিশন দিয়েছে তাতে জঙ্গিবাদ মোকবিলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কোনো কথা নেই। জঙ্গিবাদি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নিয়ে কোনো কথা নেই। তার মানে খালেদা জিয়া এদের পৃষ্ঠপোষকতা দেন। তাদের বিএনপি মদত দিচ্ছে এটা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করেছিলো বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগ যে নামগুলো দিয়েছিলো তার থেকে একজন আছেন। বিএনপিরও একজন আছেন। তাহলে বিএনপির অসুবিধা কোথায়। সারা দুনিয়ার গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচনের সময় সরকার দায়িত্ব পালন করে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারও সেইভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

কাউন্সিলে পদ্মাসেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের একটি সংস্কৃতি হয়ে গেছে নির্মাণ কাজ চলার সময় তার নামকরণ হয়ে যায়। শেখ হাসিনা এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। তিনি তার নামে পদ্মাসেতু করার বিষয়ে রাজি নন। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা চান পদ্মানদীর নামেই সেতুর নাম থাক।    

এ কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এসকে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।