ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘আ’লীগ সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাসী’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৭
‘আ’লীগ সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাসী’

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, জনগণ ভোটের মালিক, জনগণ ভোট দেবে তার ইচ্ছে অনুযায়ী। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো- এই স্লোগান কিন্তু আমরাই শুরু করেছি।

আমরা সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচন চেয়েছি।  

শনিবার (৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তৃতা করছিলেন।

শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের বিষয়ে বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করলো, মানুষ মারলো, গণহত্যা করলো, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তারাই ক্ষমতায় এলো। বেঈমান খন্দকার মোশতাককে ক্ষমতায় বসালো। কিন্তু বেশিদিন রাখলো না। তাকেও সরিয়ে দিলো যারা বেঈমানি করিয়েছে তারাই।

‘এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলেন। তার ক্ষমতাগ্রহণের মধ্য দিয়ে অপশক্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে। দেশ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে। দুর্নীতি-লুটতরাজ শুরু হয়। অন্য স্বৈরশাসকদের মতো তিনিও এলিট শ্রেণী তৈরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেন। আইয়ুব খানও এমনই করেছিলেন। এভাবে ২১ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন শুরু করি। জনগণের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করি। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। সে কাজের সুফল মানুষ এখন পাচ্ছে।

‘দেশের এখন খাদ্যের অভাবে হাহাকার নাই। একসময়ে মঙ্গাপীড়িত এলাকায় মঙ্গা নাই, দুর্ভিক্ষ নাই। মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। বেকারত্বের হার কমে গেছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। ’

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, মাগুরা নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের বিএনপির একক নির্বাচন জনগণ দেখেছে। ষড়যন্ত্র করে ২০০১ এর নির্বাচনেও আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আবার দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়। আমরা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে এ দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করি।

তিনি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পর নানাসময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন প্রসঙ্গে বলেন, অতীতে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছে সেটা আর্কাইভে রাখা দরকার। সবার জানা দরকার। তারা কারাগারে ঢুকেও আমাদের নেতাকর্মী মেরেছে। আমরা অতীত ভুলে যাই, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ইতিহাসটা দেশের মানুষের বারবার জানা উচিত। অতীত ভুলে গেলে এগোনো যায় না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।