ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

১৪ দলকে সর্বোচ্চ ১৫টি আসন ছাড়তে পারে আ’লীগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
১৪ দলকে সর্বোচ্চ ১৫টি আসন ছাড়তে পারে আ’লীগ

ঢাকা: আগামী নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে সর্বোচ্চ ১৫টি আসন ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। জোটের আসন পাওয়ার মতো দলের সংখ্যাও ৪ থেকে ৫টির বেশী হবে না।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আসন সমঝোতার মাধ্যমে ঐক্যবব্ধভাবে অংশ গ্রহণ করবে। গত দু’টি নির্বাচনেও আসন ভাগাভাগি হয়।

সে অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগ কতটি আসন ছেড়ে দেবে সে বিষয়টি ইতিমধ্যে আলোচনায় আসতে শুরু করেছে। তবে গত দু’টি নির্বাচনে এ জোটের শরিকদের যতোটা আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো আগামী নির্বাচনে সেই সংখ্যার তেমন একটা এদিক সেদিক হবে না বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণি পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদলগুলোর মধ্য থেকে ৪টি দলকে ১১টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি পায় ৪টি। এর বাইরে আরও ২টি আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি বিজয়ী হয়। বর্তমানে সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির ১টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ মোট ৭ জন এমপি রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৩টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্বাচিত হয় ২টিতে।
গত নির্বাচনে জাতীয় সমাতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু)কে ছেড়ে দেয় ৪টি। এর মধ্যে ৩টিতে জয়ী হয়। এর বাইরে জাসদ আরো ২টি আসনে বিজয়ী হয়। বর্তমানে সংসদে জাসদের ১টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৬ জন এমপি রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জাসদকে ৪টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩টিতে নির্বাচিত হয় জাসদ।

এদিকে গত নির্বাচনের আগে ১৪ দলের জোটে যোগ দেয় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরীকত ফেডারেশন।

নির্বাচনে জেপিকে ১টি ও তরীকত ফেডারেশনকে ২টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। এই দুই দলের প্রার্থীরা ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে জয়ী হয়ে আসেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করবে আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করবে। দলের প্রার্থীর অবস্থা, তার জনপ্রিয়তা ও ওই দলের সাংগঠনিক অবস্থা এসব কিছুই বিবেচনায় আনা হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেবে। এর ফলে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাই প্রার্থী মনোনয়ন বা আসন ছেড়ে দেওয়ার সময় বিজয়ের নিশ্চয়তা কতটুকু সে বিষয়টিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তাই আগামী নির্বাচনে এই ৪টি দলের বাইরে ১৪ দলের অন্য কোনো শরিক দলকে আসন ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে জাসদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আলাদা দু’টি দল হয়েছে। দুই জাসদই ১৪ দলের জোটে রয়েছে এবং দুই দলেরই এমপি আছে। এই দুই জাসদকে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে এই দলগুলোর বাইরে জোটে অন্য যে শরিক দল রয়েছে সে সব দল থেকে বিজয়ী হওয়ার মতো জনপ্রীয় প্রার্থী ও সে ধরনের সাংগঠনিক অবস্থা নেই বলে আওয়ামী লীগের ওই নীতি নির্ধারকরা মনে করেন। সেই সঙ্গে যে সংখ্যক আসন ছাড়া হয়েছিলো তার থেকে তিন-চারটি আসন বাড়লেও বাড়তে পারে বলে তারা জানান। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কেউ কথা বলতে চান না।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ১৪ দলগতভাবেই আগামী নির্বাচন করতে চাই। আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ আসনে বিজয়ী হয়ে আসার মতো পরিস্থিতি হবে না। শুধু মনোনয়ন বা আসন ছেড়ে দিলে তো হবে না, নির্বাচনে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে যিনি বিজয়ী হতে পারবেন সে বিষয়টি ভাবতে হবে। জোট শরিকদের কতোটি ছেড়ে দেওয়া হবে সেটা তো এখনই বলা যায় না।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এসকে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।