ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘সংগঠন করা মানে অপরাধ করার লাইসেন্স নয়’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
‘সংগঠন করা মানে অপরাধ করার লাইসেন্স নয়’ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, ছবি: রহমান মাসুদ

বগুড়া: বগুড়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতনসহ সাম্প্রতিক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেছেন, ‘সংগঠন করা মানে অপরাধ করার লাইসেন্স নয়।’

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মাশরাফী হিরো স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেন, সহযোগী সংগঠনসহ ভুঁইফোড় কিছু সংগঠনের কারণে আওয়ামী লীগের দুর্নাম হচ্ছে।

সহযোগী সংগঠনগুলোর আলাদা গঠনতন্ত্র থাকায় আওয়ামী লীগ তাদের কাজে কখনই হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার রাখে না।

তারপরও সভাপতি হিসেবে বারবার সাবধান করেছি। ডেকে নিয়ে বুঝিয়েছি। অনেক সময় কড়া ভাষায় সমালোচনা এবং সঠিক পথে আসার আহ্বান জানিয়েছি।

কেউ শুনেছে কেউ শোনেনি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেক সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বাসায় দাওয়াত খান। তাদেরকে বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। যার ফলে আমাদেরকে অনেকে তোয়াক্কা করে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাইলফলক সৃষ্টি করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালনা করছেন।

এতে দেশে ও বাইরে বাংলাদেশ বিরোধী গোষ্ঠীদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই তারা যে কোনো উপায়ে সরকারের গায়ে কালিমা লেপন করতে চায়। বগুড়ার ঘটনায় প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বিএনপি বগুড়া শহরে সস্তা রাজনীতির অংশ হিসেবে মিছিল-সমাবেশ করছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আওয়ামী লীগ তা হতে দেবে না।

এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কোনো ব্যক্তির কারণে আওয়ামী লীগ দুর্নামের অংশীদার হবে না। শুধুমাত্র তুফান সরকার অথবা মতিন সরকার নয়- যারা এদের স্রষ্টা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিছু গণমাধ্যম আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশ করেছেন তাতে আমি দুঃখ পেয়েছি।

তারা কখনই মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের কোনো সভা-সমাবেশ অথবা মিছিলে অংশগ্রহণ করেনি। সারাজীবন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়েছি। এখনও সোচ্চার রয়েছি। বগুড়ায় আইন-শৃঙ্খলা মিটিংএ বারবার বগুড়ার যানজট, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি, জুয়া ও মাদকের ব্যাপারে বার বার প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।

বগুড়া শহরে মাত্র ৫ হাজার সিএনজির লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু অবৈধভাবে ২০ থেকে ২৫ হাজার লাইসেন্সবিহীন সিএনজি চলছে। সিএনজি স্ট্যান্ডগুলি বগুড়া শহরে যানজটের মূল কারণ।

এ ব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেছি।

কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এ সমস্ত অনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এসব ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুবা এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। পরিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার হতে সবাইকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।