ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

মামলার ভয়ে বিদেশে খালেদা: খাদ্যমন্ত্রী

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
মামলার ভয়ে বিদেশে খালেদা: খাদ্যমন্ত্রী সরকারি কবি নজরুল কলেজে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম

ঢাকা: কখন কোন মামলার রায় হয়ে যায়, তা নিয়ে খালেদা জিয়ার মনে ভয় কাজ করছে বলে মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘তিনি বহুবার মামলার তারিখ পরিবর্তন করেছেন। আদালত আর তারিখ পরিবর্তন করবেন না ভেবে ভয়ে তিনি বিদেশে চলে গেছেন’।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বলেন ডিউটিতে থাকার সময় সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হত্যা করেছে।

আসলে তা নয়। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় পরিকল্পিতভাবে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার একজন আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছি, এতে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। তাহলে কেন জিয়াকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়নি? এমন প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে’।

‘আইনে আছে, কোনো মৃত ব্যক্তিকে ফৌজদারি বিধিতে মামলার আসামি করা হয় না। জিয়া বেঁচে থাকলে তার বিরুদ্ধেও চার্জশিট হতো। মামলায় তা প্রমাণিতও হতো। রাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতো বলে বিশ্বাস করি’।
সরকারি কবি নজরুল কলেজে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায়  বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি তার পরাজয়ের কথা বুঝে গেছেন। তিনি এখন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না’।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় বিএনপি খুব উচ্ছ্বসিত ছিল। তারা এর আগেও বহু ক্ষেত্রে উল্লসিত হয়েছিল। তারা ভেবেছে, আমাদের সঙ্গে বিচার বিভাগের বৈরিতা তৈরি হয়েছে। এর আগেও তারা নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর খুব উল্লসিত হয়। কিন্তু তাতে তাদের কোনো লাভ হয়নি। এখন এসেছেন নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে। কিন্তু তাতেও তারা সফল হবেন না’।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিবিরকে রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোসফিকা বেগম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
ডিআর/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।