ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

গণতন্ত্র বিকাশের পথে জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি ক্ষতিকর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
গণতন্ত্র বিকাশের পথে জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি ক্ষতিকর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আব্দুল বাছিত রুম্মান

সিলেট: জামায়াত-শিবিরকে গণতন্ত্রের ভেতরে গড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেছেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। গণতন্ত্র বিকাশের পথে জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি খুবই ক্ষতিকারক বলেও মন্তব্য করেছেন নেতারা। 

বুধবার (৯ আগস্ট) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের নেতারা এ মন্তব্য করেন। গত ৭ আগস্ট জালালাবাদে দুই ছাত্রলীগকর্মীর ওপর শিবিরের হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, জামায়াত-শিবির গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। ধর্ম-নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলো গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। কিন্তু এই নরপিশাচরা তা বিশ্বস করে না। গণতন্ত্রের মুখোশ পরে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ বিস্তার করে যাচ্ছে।  

লিখিত বক্তব্যে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান বলেন, শিবিরের হামলার শিকার তাহসান আহমেদ শাহীন ও আবুল কালাম আসীফ সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের দু’জন একনিষ্ঠ কর্মী। তারা গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে জালালাবাদ কলেজকে শিবিরমুক্ত করতে বিভিন্ন প্রগতিশীল কার্যক্রম ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

পরবর্তীতে কলেজের জামায়াত-শিবিরপন্থী অধ্যক্ষ ও কিছু শিক্ষক তাদের কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়ে দেখা করতে বলেন। এরপর জালালাবাদ কলেজে সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ শাহীন ও আসীফ ওই শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে এলে  তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শিবির ক্যাডাররা। এসময় জামায়াত-শিবির হায়েনারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহীন-আসীফের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে শাহীনের এক হাত কেটে ফেলা হয় এবং এক পা অকেজো হয়ে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। আসীফ মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।  

শুধু তাই নয়, জামায়াত-শিবির এম সি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি খায়রুজ্জামান খসরু, মনির, তপন, জুয়েল, সৌমিত্র বিশ্বাস, জগৎজোতি তালুকদার, অরুন দেবনাথ সাগর, শিহাব আল মামুনসহ আরও অসংখ্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর ওপর নৃশংস হামলা করে।  

শাহীন ও আসীফের ওপর এই নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়ে এতে জড়িত সব জামায়াত-শিবির কর্মী ও তাদের মদদদাতা শিক্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান আব্দুল বাছিত রুম্মান।  

মহানগরীর অন্তর্গত সব ইউনিটে জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।  

নৃশংস হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মহানগর ছাত্রলীগ সিলেটে ছাত্রসমাবেশ করবে।

সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক উপ সম্পাদক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ অসীম, সদস্য শাহ আলম শাওন, এমদাদুল হক জাহেদ, সজল দাস অনিক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এনইউ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।