ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

`প্রধান বিচারপতি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
`প্রধান বিচারপতি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন’ বক্তব্য রাখছেন ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: শাকিল

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর ও পাকিস্তানিদের সহযোগী শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে।

আপনি তার নেতৃত্বকে খাটো করার চেষ্টা করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দরিদ্র থেকে যখন আমরা মধ্য আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হচ্ছি, তখন আপনি দুরভিসন্ধিমূলক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আপনি পাকিস্তান আর তার দোসরদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। কারণ আপনি ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য, পাকিস্তান আর্মির সহযোগী।   এগুলো আপনি নিজ মুখেই আদালতে বলেছেন। তাই আপনি সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগ করুন। এই দেশের মানুষ আপনাকে আর প্রধান বিচারপতি পদে দেখতে চায় না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যখন একজন বিচারপতি শপথ নেন, তখন তিনি কারো প্রতি বিরাগভাজন হয়ে কাজ না করার শপথ নেন। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি এমন অনেকের নাম এনেছেন যাদের ওই রায়ের সাথে কোন সংশ্লিষ্টতাই নেই। এর মানে তিনি তাদের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে এসব কথা লিখেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার শপথ লংঘন করেছেন। আর তা নিয়েই বিএনপি গর্ত থেকে উ‍ঁকি দিয়ে হাসছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, প্রধান বিচারপতি নিজ মুখে বলেছেন, তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি পাকিস্তান আর্মির সহযোগী ছিলেন। সেজন্যই তিনি পাকিস্তানিদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। চারশত পৃষ্ঠার যে রায় তিনি লিখেছেন সেটি পুরোপুরি তার মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন ফাল্গুনি হামিদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।