শনিবার সন্ধ্যায় (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে মিঠুনকে মারধর করে আলম নামে স্থানীয় এক যুবকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন। আলম ওই এলাকার ছাত্রদল নেতা বলে অভিযোগ করছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
মিঠুন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী ও বন্ধুরা অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনের বোটানিক্যাল গার্ডেনে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় এক যুগল। ৫-৭ জন ছাত্রলীগকর্মী এতে বাধা দিলে ওই যুগল ভুল শিকার করে ক্ষমা চায়। তখন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে ক্যাম্পাস সংলগ্ন পার্কের মোড়ে মিঠুনকে একা পেয়ে আলমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক তাকে মারধর করে। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ নেতাকর্মী রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এ এসময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শোকের মাস উপলক্ষে যথাযথ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বেরোবি ছাত্রলীগ যখন মডেল ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, ঠিক তখন জামায়াত-বিএনপির দোসররা ইর্ষান্বিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মুহিব্বুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
এইচএ/
