ঢাকা, শনিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাধনার বহিঃপ্রকাশ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাধনার বহিঃপ্রকাশ ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাধনার বহিঃপ্রকাশ

ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাধনার বহিঃপ্রকাশ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তন সংলগ্ন সেমিনার কক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-বিশ্ব ইতিহাসের অনন্য দলিল’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুনুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দিন পাকিস্তানে বিশ্বাস করেন নাই। তিনিই প্রথম পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ গঠন করেন। তিনি ছাত্রলীগকে দিয়ে পাকিস্তানব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করে নাই। তিনি ছাত্রলীগকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার রাজনৈতিক সাধনার প্রকাশ ঘটেছিল ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের জনগণকে যেভাবে আত্মিকভাবে গ্রহণ করেছিল আর জনগণ কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে গ্রহণ করেছিল তা এই ভাষণের মধ্যে ফুটে ওঠেছে। আর তা ছিল অকল্পনীয়। বঙ্গবন্ধুর মাঝে বাঙালি আস্থা খুঁজে পেয়েছিল। তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা দরকার সব তৈরি করেছেন।

৭ মার্চের ভাষণকে অসহযোগ আন্দোলনের ভাষণ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু সবকিছু বন্ধ করার কথা বলেন। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে রেল যোগাযোগ ও দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলার কথা বলেন। তার দূরদর্শী চিন্তার কারণে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মন্ডলে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সবকিছুর মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। অন্য কোনো দলের অবদান ছিল না।

অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি জাতি-জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী সৃষ্টি, এক মহাকাব্য। বহুমাত্রিকতায় তা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্ব মানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়,  অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল। ইউনেস্কোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে এটিই স্বীকৃত হয়েছে।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের অধ্যাপক ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, এশিয়ান এইজ পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক সৈয়দ বদরুল হাসান প্রমুখ।

গোলাম সরওয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বশস্ত্র অপশক্তির বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিকে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার নাতিদীর্ঘ ভাষণে বাঙালি যেভাবে লড়াই করেছে এই রকম ইতিহাস পৃথিবীর অন্য কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না। তিনি ৭ মার্চের ভাষণটিকে দু'ভাগে বিভক্ত করেন। যার প্রথমটি ছিল স্বাধীনতা, দ্বিতীয়টি পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে কড়া সতর্ক বার্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।