পাঁচ তারকা হোটেল ‘ডিপ্লোম্যাট রেডিসন ব্লু ’র গ্রান্ড অ্যাম্বাসেডর সুইটে রোববার (২৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ আয়োজন করা হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান, দূতাবাসের মিনিস্টার মেহেদী হাসান ও প্রথম সচিব (শ্রম) শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত, আলজেরিয়া, ওমান, আরব আমিরাত, শ্রীলংকা, লিবিয়া, জর্ডান, আমেরিকা, তিউনিশিয়া, সুদান, ইরাক, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক, লন্ডন, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, মরক্কো, চীন, ফিলিপাইন, জাপান, কোরিয়া, ব্রুনাই, মিশর ও থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা। নেপাল, কোরিয়া ও ইয়েমেনের সিডিএ, জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অডিনেটর এবং ব্রাজিল ও গ্রিসের অনারারি কাউন্সিলররাও অংশ নেন।

অতিথিদের বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ছবি সম্বলিত বিশেষ বুলেটিন ও বাহরাইন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন ন‍ূরের সৌজন্যে লাল-সবুজ রঙের কাপড়ের বিশেষ ব্যাজ উপহার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ও বাহরাইনের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সবার কাছে তুলে ধরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও  সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার করেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাহরাইনে এর আগে বাংলাদেশের কোনো অনুষ্ঠানে এতো কূটনীতিক আসননি।

পরে মিনিস্টার মেহেদী হাসানের পরিকল্পনায় নির্মিত সাত মিনিটের ‘বাংলাদেশ ইওর নেক্সট ডেস্টিনেশন’ বিশেষ তথ্যচিত্র অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের বিমোহিত করে।

অনুষ্ঠানের অতিথি বাহরাইনের মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডা. শেখ আবদুল্লা বিন আহমেদ আল খলিফা, ড. দাফর আল ইমরান ও বাহরাইনের মেম্বার অব পার্লামেন্ট সদস্যরা রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের বিশেষ কেক কাটেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- আহলি ইউনাইটেড ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও বাংলাদেশ স্কুলের সাবেক চেয়ারম্যান সাফকাত আনোয়ার, আরকেপিটা ব্যাংকের গ্লোবাল হেড (ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট) মুইজ চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব বাহরাইনের অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বাহরাইনের কিংডম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন স্থাপত্যবিদ মাহবুবুর রহমান. বাহরাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক স্থাপত্যবিদ ফারিয়াল খান ও স্থাপত্যবিদ মুমিন খন্দকার, বাংলাদেশ সমাজের সভাপতি ফজলুর করিম বাবলু, ন্যাশনাল ফিশ ও প্যাসিফিক গ্রুপের এমডি মো. সফি উদ্দীন, তালীমূল কুরআনের সভাপতি প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ স্কুলের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ মো. সালেহ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি কয়েস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি ফুয়াদ তাহির শান্তনু, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাবু, অর্থ সম্পাদক মাজহারুল হক নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, লিন্নাস গ্রুপের এমডি মোবারক হোসেন, লিন্নাস মেডিকেল সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. জয়নূল আবেদীন, বাংলাদেশ স্কুলের পেট্রোন গোলাম রব্বানী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আইনূল হক ও আব্দুল করিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দীন, লিন্নাস মেডিকেলের ডা. মো. রাশেদ রেজওয়ান. ডা. পি কে চৌধুরী আবির প্রমুখ।

রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন- প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, আলাউদ্দিন ন‍ূর, মো. শাহজালাল, শেখ মো. আব্দুল হান্নান, প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর তরফদার, গিয়াস উদ্দীন মিয়াজী, সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, আবুল হাসেম, সাবের হোসেন, মোজাহিদুল ইসলাম, এম এ করিম, তোফাজ্জল হোসেন, গোলাম নূর মিলন, আইয়ূবুর রহমান আকাশ, মিজানুর রহমান, মো. সেলিম হোসেন, মোশারফ হোসেন মশু।

আমন্ত্রিত অতিথিরা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবার এবং বাঙালিদের আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
জিপি/এএসআর