ঢাকা: ব্যাংকের নির্দিষ্ট পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা না করে অবলোপন করা হয়। এর সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিয়ে নেয়।
এতদিন কুটির ও মাইক্রো খাতে গ্যারান্টি সুবিধাপ্রাপ্ত দুই লাখ; কৃষি এবং সিএসএমই ঋণসহ অন্যান্য খাতের ক্ষুদ্র অংকের ঋণের পাঁচ লাখ টাকা ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা পেত। এখন থেকে নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ পাঁচ লাখ পর্যন্ত ঋণ ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা পাবে। পাশাপাশি কুটির ও মাইক্রো খাতে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা দুই লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি ডিপার্টমেন্ট থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা বর্ণিত স্কিমের আওতায় সিএসএমইসহ সব খাতের ঋণগ্রহীতার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। এ মর্মে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ খাত এবং ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় গ্যারান্টি সুবিধাপ্রাপ্ত পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত খেলাপি ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালত মামলা ছাড়াই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট গ্যারান্টির বিপরীতে অর্থ দাবি করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিজিডি’র ২/২০২২ নম্বর সার্কুলারে বলা হয়েছিল, কুটির ও মাইক্রো খাতে গ্যারান্টি সুবিধাপ্রাপ্ত দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মন্দমানে শ্রেণিকৃত ঋণের ক্ষেত্রে আদালতে মামলা দায়ের ব্যতিরেকে গ্যারান্টির বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ দাবি করা যাবে মর্মে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
অপর এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, বিআরপিডি সার্কুলার ১/২০২৩ নম্বরে সার্কুলারে বলা হয়েছিল কৃষি এবং সিএসএমই ঋণসহ অন্যান্য খাতের ক্ষুদ্র অংকের ঋণের মামলা খরচ প্রায় ঋণ স্থিতির তুলনায় বেশি হয়ে যায় তাই অর্থ ঋণ আদালত অত্যাবশ্যকীয়ভাবে মামলাযোগ্য না হলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ স্থিতির ক্ষেত্রে আদালতে মামলা দায়ের ব্যতিরেকে অবলোপন করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
জেডেএ/এমজে