ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

গ্রামীণ ব্যাংকে এখন ক্ষুদ্র ঋণ নেই: মুহিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
গ্রামীণ ব্যাংকে এখন ক্ষুদ্র ঋণ নেই: মুহিত

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকে এখন ক্ষুদ্র ঋণ নেই। তবে ব্যাংকটির শাখা সারাদেশের সব জায়গাতেই আছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনলাইন রিয়েল টাইম কোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ ও সিলেট সদর শাখায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী।

এ সময় অনলাইনে পোস্টিং করে হাসনা হেনা, কমেলা বিবি ও হাসান খান নামে তিন গ্রহীতাকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়।

এমএ মুহিত বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে এখন ক্ষুদ্র ঋণ নেই। একেবারে নেই। এখন ১০ জন, ১৫ জন, ২০ জন, ৩০ জনকে মিলে একটা ঋণ দেওয়া হয়। সেটা ক্ষুদ্র ঋণ নয়। এটা এগ্রিকালচারও বলা যেতে পারে না। এগ্রি বিজনেসেও যায়। অন্যান্য ইনভেস্টে যায়। সো ইটস এ বিগ চেইঞ্জ।

গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার নিজের তো মনে হয় অসাধারণ একটা অ্যাচিভমেন্ট। টাঙ্গাইলের গ্রামে গিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্বোধন করি। সেখানে মানুষ ছিল সম্ভবত হাজার দুয়েক।

`আমি এক সময় ঢাকার বাইরে কোথাও বের হলে ড্রপিং (নামতাম) টু প্লেস (দু’টি জায়গা)। একটি হলো গ্রামীণ ব্যাংক অন্যটি ব্র্যাক। এই দু’টি প্রতিষ্ঠানই দেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। আপনি যে কোনো জায়গায় যান, একটি গ্রামীণ ব্যাংক, একটি ব্র্যাকের শাখা পাবেন-ই। ’ 

তিনি বলেন, আমি এ ধরনের দু’টি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। একটি ছিল ১৯৮৩ সালে, গ্রামীণ ব্যাংক। যেটা ঋণ দিতো। আর গত বছর ছিল এটি, যেটা সঞ্চয় সংগ্রহ করে। যেদিন উদ্বোধন হয় সেদিন আমি বলেছিলাম, এরা এক হিসেবে সম্পূরক। একটি ঋণ দিচ্ছে, আরেকটি আদায় করছে।  

‘প্রথম দিকে ঋণটা দেওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল। যখন আমাদের হাতে সঞ্চয়ের কিছু্ই ছিল না। ১৯৮৩ থেকে ২০১৬ সালে আমরা দেখলাম যে আমাদের সঞ্চয়ের কিছু বৃত্ত সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এই ব্যাংকটি আসল। এই ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠা করি তখন আরেকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বিগত শতাব্দীর শেষ দিকে শুরু হওয়া একটি বাড়ি একটি খ‍ামার প্রকল্পটি আমরা আর রাখবো না। ’

‘সেই প্রজেক্টটি এই ব্যাংকে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু দিন পরে দেখলাম এটা করা যথাযথ হবে না। কারণ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের মানুষ এখনও আসে নাই। সবাই যখন এই প্রকল্পের আওতায় আসবে তখন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প আর থাকবে না,’ বলেন মুহিত।  

অর্থমন্ত্রী বলেন, অরিজিনলি যে আইডিয়াটা ছিল, সেটা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে রূপান্তরিত হবে। কত জলদি হয় সেটা একটা দেখবার বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি ২০২০-২১ সালের পর আর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রয়োজন হবে না। তখন থাকবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার প্রমুখ।  

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকের যাত্রা শুরুর এক বছর একমাস চারদিন পর অনলাইন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সবগুলো অর্থাৎ ৪৮৫টি শাখা অনলাইনের আওতায় আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসই/এমএ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।