ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

ঋণ গ্রহণ-আদায়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
ঋণ গ্রহণ-আদায়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে

ঢাকা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ঋণ গ্রহণ ও আদায়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। তাহলে ঋণ খেলাপিও হবে না, আদায়ও সহজ হবে।
 

সোমবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘প্রাক বাজেট আলোচনায়’ তিনি এ কথা বলেন।
 
মির্জা আজিজ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণ খেলাপি হয়েছে।

ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদায় করার উদ্যোগ নিলে আদালতে গিয়ে তা স্থগিত আদেশ জারি করা হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থার শ্লথগতির ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো টাকা আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করলেও তা আটকে আছে। এই অকার্যকর বিচার ব্যবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে আগামী বাজেটে তার দিক নির্দেশনা থাকা দরকার।
  
তিনি বলেন, আমদানির প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি আমদানির আড়ালে অর্থপাচার হচ্ছে কি-না তা খতিয়েও দেখা দরকার। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে।
  
মির্জা আজিজ বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রশংসনীয় হলেও বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে পরিচালিত হলে সেখান থেকে করমুক্ত রাজস্ব পাওয়া যেতো। দিনের পর দিন এসব প্রতিষ্ঠান ভর্তুকির নামে সরকার ঋণ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। যে ঋণ কেয়ামত পর্যন্ত আদায় হবে না। তারপরও প্রতি বছর শ্রমিক অসন্তোষ মেটানোর জন্য সরকারের কাছে ঋণ নিচ্ছে। এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। কয়েক লাখ কোটি টাকা এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ আছে, এসব বিষয়ে বাজেটে ইঙ্গিত থাকা উচিত।
 
গত পাঁচ ছয় বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার কমেছে। ২০১২ সালে যেখানে ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হতো, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে তা ৮০ শতাংশে নেমেছে। বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক জবাবদিহিতার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেন এ উপদেষ্টা।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়াও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অথনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, সাধারণ বিমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ড. শামসুল আলম।
 
স্টাডি ট্রাস্ট চেয়ারম্যান ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন আলোচনায় মূল প্রবন্ধে আয়কর বাড়ানোর জন্য এনআইডি ব্যবহার, সরকারের রিজার্ভ ফান্ডের বিপরীতে সোভারিন বন্ড চালু, সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ এবং সম্পদের অপচয় বন্ধ করা, ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির প্রতিকার, অধিকতর চাকরি তৈরিতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা, বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা, ব্যবসাবান্ধব বাজেটসহ এপ্রিল মাসের মধ্যেই বাজেটের টাকা বিলি বন্টন সম্পন্ন করার সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।