ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বাড়ছে বই, বাড়ছে পাঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
বাড়ছে বই, বাড়ছে পাঠক ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: বইমেলার হাতেখড়ি মঞ্চের পাশে বিশ্রামের জায়গায় বসে ছোট্ট ছেলেকে গল্প পড়ে শোনাচ্ছিলেন মা তাহমিনা আক্তার। এর আগে শিশুচত্ত্বরের বইয়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখে বাচ্চাদের জন্য কিনেছেন বেশ কয়েকটি বই।

তাহমিনা আক্তার বলেন, বাচ্চারা এখনো পড়ার মতো হয়নি। তবে ওদের তো বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করাতে হবে। আর এজন্য বইমেলার থেকে ভালো আর কি হতে পারে!

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশের স্টলগুলোতে ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলেন জান্নাতুন নাঈমা। ঝুমঝুমি প্রকাশনীর দিকে তাকিয়ে হঠাৎ থেমে গেলেন তিনি। একটু এগিয়ে স্টলটিতে সাজানো বইগুলো থেকে তুলে নিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘সূর্যটা হেলে পড়েছে’। এ সময় সূর্যটা সত্যি হেলে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার মুখে কথা হয় জান্নাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভিড় এড়াতে শুক্র ও শনিবার আসা হয়নি। অনেক নতুন বই এসেছে। স্টলে ঘুরে ঘুরে সেগুলো দেখছি। পছন্দের লেখকের বই পেলে সংগ্রহ করছি।

সোমবার অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন। আর পঞ্চম দিন পর্যন্ত মেলায় এসেছে মোট ৩০৩টি নতুন বই। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার এবং সোমবারও দর্শক-ক্রেতা ও লেখক-পাঠকের পদচারণায় মুখর হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। এমন লোকসমাগমে লেখক ও প্রকাশকরা বেশ খুশি।

এবারের মেলা সম্পর্কে কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, শুরু থেকেই যে সমাগম দেখা যাচ্ছে, তাতে ভালোই লাগছে। তবে মনে হচ্ছে, স্টলগুলো একদম গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে আরেকটু জায়গা থাকলে সুন্দর হতো।

বাংলা প্রকাশনীর কর্মকর্তা নুরুন নবী বলেন, দুই ছুটির দিনে বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। গতকালও অনেক পাঠক এসেছেন, বই কিনেছেন।

আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি বলেন, মেলায় শুধু দর্শনার্থী-পাঠকের ভিড় লক্ষ্য করার মতো। শুরু থেকেই বই বিক্রি ভালো। তবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকের গেটটি বন্ধ থাকায় অনেকে ভোগান্তিতে পড়ছেন। গেটটি বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি।

বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলা শুরুর আগে পুলিশের সঙ্গে সভায় ডিএমপি কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকের ফটক খোলা রাখতে বলেন। কিন্তু পরে তাদের পক্ষ থেকেই গেটটি বন্ধ রাখতে বলা হয়। শুধু শুক্র ও শনিবার এবং বিশেষ দিনে এটি খোলা থাকবে।

এদিকে উদ্বোধনের পরদিন থেকেই পাঠক সমাগম বাড়তে থাকে এবারের একুশে বইমেলায়। মেলার তৃতীয় দিন ও মেলার প্রথম ছুটির দিন ছিল উপচে পড়া ভিড়। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনেও পাঠক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএস 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।