ঢাকা: শীতের শেষ বিকেল ছিল সোমবারের (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল। এমন বিকেলে মেলায় যাওয়া, পছন্দের বই কেনা, ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি অন্যরকম।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার ১৩তম দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নানা ঘটনায় টের পাওয়া গেল, মানুষ উদ্যানপ্রিয়। উদ্যানের লেকের পাড়ে সন্ধ্যায় হঠাৎই শোনা গেল গিটারের শব্দ। সেখান থেকে ভেসে আসছে বাংলা লোকগানের ফিউশন। একদল ছেলেমেয়ে এসেছে বন্ধুরা মিলে।
যেহেতু মেলার ভেতর কোনো স্টল থেকে মাইক বাজানো বারণ, তাই এ ব্যবস্থা। লালনগীতি আর লোকগানের ফিউশনে রীতিমতো ভিড় জমে গেল। তা একসময় ছড়িয়ে পড়লো লিটলম্যাগ চত্বরেও। সরকারি ছুটি না হলেও বইমেলার ১৩তম দিনের সন্ধ্যায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত বইমেলা প্রাঙ্গণ। নতুন বই কেনা আর মেলার টান যেন উপেক্ষা করার উপায় ছিল না বইপ্রেমীদের। প্রকাশকেরাও আশাবাদী।
সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ জানালেন, কাগজের জন্য বইয়ের দাম যা বেড়েছে, তা পাঠকের বোঝা হবে না। কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী নাসির আহমেদের কথাতেও একই সুর।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেলের পর মেলার দু’পাশের গেটে ছিল দীর্ঘলাইন। বাইরের দীর্ঘলাইনের মতো ভেতরেও ভিড় ছিল। ভিড় সামলে নিয়ে স্টলের সামনে জায়গা করে পছন্দের বই কেনেন ক্রেতারা।
বিক্রিও বেশি ছিল বলে জানান অন্যপ্রকাশ, বিদ্যাপ্রকাশ, কাকলী প্রকাশনী, সময়, ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের প্রকাশকরা।
বিকেলে কথা হয় মোহাম্মদপুর থেকে সপরিবারে আসা তানজিন তন্নির সঙ্গে। মাঘের শেষ বিকেলটিতে ছোট ছেলেমেয়েসহ স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সেজেছেন বসন্তের রঙে। কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বই কেনার জন্য মেলায় আগেই এসেছি। বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছি শিশুপ্রহরে। তবে শীতের শেষ আর বসন্ত শুরুর সন্ধ্যাটার সাক্ষী হতেই সবাই মিলে আজ চলে এলাম ঘুরতে। যদিও আজ বই কেনার ইচ্ছে নেই, তবুও হয়তো শেষবেলা কিনে নেবো দুটো বই।
বসন্তের আগমনী ছোঁয়া শুধু পাঠকের মাঝেই নয়, রাঙিয়ে তুলেছিল বইমেলার স্টলের বিক্রয়কর্মীদেরও। শুধু ভিড়ই ছিল না, ছিল প্রকাশকদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো বিক্রিও। মেলার প্রায় প্রতিটি স্টলেই ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এইচএমএস/এএটি