ঢাকা: মেলার প্রথম অর্ধের কয়দিন বই বিক্রি তুলনামূলক কম হলেও বর্তমানে বদলে গেছে চিত্র। পছন্দের বই হাতে ঘরে ফিরেছেন অনেকেই।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বইমেলার দুয়ার খুলতেই দেখা যায় নানা বয়সি পাঠকের ভিড়। রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে সপরিবারে বইমেলায় এসেছিলেন রাহাত আহমেদ। তিনি বলেন, আজ আমার ছুটি ছিল। তাই আজকেই অবসর পেয়েছি মেলায় আসার। পছন্দের বইগুলো একটু যাচাই-বাছাই করে কেনা যাবে।
তার সঙ্গে ছিল অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে মাশরাফি। তার ভাষায়, আমি উপন্যাসই বেশি পড়ি। হুমায়ূন আহমেদের সবগুলো কিশোর উপন্যাস পড়া শেষ। এখন অন্যান্য লেখকের উপন্যাস কিনতে হবে।
ক্রেতার ভিড় মানে প্রকাশের খুশি। ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, ছুটির দিনে যেমন পাঠক হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে এখন কিন্তু বেশ ভিড়। আশা করছি সামনের সপ্তাহ থেকে তিলধারণের ঠাঁই হবে না। বিক্রি তখন আরও জমজমাট হবে।
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবারের মেলায় ক্রেতা সমাগম দেখে মুগ্ধ বলে জানান। তিনি বলেন, যে জনসমাগম দেখছি তাতে আমি মুগ্ধ। তবে মনে হলো মেলার প্যাভিলিয়নগুলো একদম গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে আছে। আরেকটু স্পেস থাকলে ভালো হতো।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী কামাল কাদের সাহিত্যচর্চা করেন। করোনা মহামারির আগে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। এরপর মন দিয়েছেন ছোটগল্প লেখায়। সাহিত্যপাঠে তিনি পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের অনুগামী হলেও বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিকদের উল্লেখযোগ্য বইগুলোও পড়েছেন। বাংলার কথাসাহিত্যিকদের নতুন বইগুলো সংগ্রহ করতে এসেছেন ঢাকায়। একদিন বিশ্রাম নিয়ে তিনি সোজা চলে আসেন অমর একুশে বইমেলায়।
সন্ধ্যায় বইমেলা প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি শুধু যে বই কিনতেই প্রতিবার বইমেলায় আসি তা নয়, সেইসঙ্গে প্রথিতযশা অনেক লেখকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও আমি পেয়ে যাই। তাদের সঙ্গে নিজের লেখালেখি নিয়ে আলোচনা করার সুবর্ণ সুযোগ তো শুধু এ বইমেলাতেই পাই।
গবেষক শামীমা চৌধুরী আগে প্রবন্ধ সমগ্র ও গবেষণার বই লিখলেও এ বছর বইমেলায় তার ছোটগল্প এসেছে। ছোটগল্প সমগ্র ‘ভেসে যায় বেহুলার ভেলা’ প্রকাশিত হয়েছে শিল্পতরু প্রকাশনী থেকে। তিনি বলেন, এ বছর একটু ভিন্ন পরিচয়ে এলাম। আমি মুখিয়ে আছি আমার ছোটগল্প সমগ্রটি কীভাবে নেয় পাঠক।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি