ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

শেষ ভাগের মেলায় বইপ্রেমীদের ভিড়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪
শেষ ভাগের মেলায় বইপ্রেমীদের ভিড় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: নির্ধারিত সময়ে মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত হতেই বইপ্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৪তম দিন সোমবার।

মেলা চলবে যথারীতি ২৮ ফেব্রুযারি পর্যন্ত।
 
সোমবার শেষ ভাগের মেলায় তাই কিছুটা ভাঙনের সুর। মেলা শেষ হতে বাকি আর মাত্র চারদিন। তাই পছন্দের প্রিয় বইটি কিনতে পাঠক বইপ্রেমীরা মেলার প্রথম প্রহর থেকেই আছড়ে পড়ছেন স্টলে স্টলে। চলছে বই বেচা-কেনার ধুম।
 
২৪তম দিনে মেলায় আগতরা প্রায় সবাই বই কেনায় ব্যস্ত। ফলে বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলে যারা কাজ করছেন তাদেরও ফুসরত নেই। বইয়ের যোগান দিতেই তারা ব্যস্ত।
 
শেষভাগের মেলায় বরাবরই বিক্রি ভালো হয়। তবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার বই বিক্রি বেড়েছে বলে মনে করছে প্রকাশনীগুলো। তাদের মতে কোনো কিছুই বইয়ের বিকল্প হতে পারে না। বইয়ের আবেদন তাই ই-বুক কিংবা ডিজিটাল অন্যকোনো আঙ্গিকে পাওয়া যাবে না। তাই পাঠের স্বাদ মেটাতে পাঠকরা শেষ পর্যন্ত কাগজে ছাপা দৃষ্টিনন্দন বইকেই আশ্রয় করছেন।
 
বিদেশি গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের গণহত্যা বিষয়ক বই ‘বাংলাদেশ জেনোসাইড অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস’ শিরোনামের বইটি কিনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আজাদ।
 
সংঘ প্রকাশন থেকে বইটি কেনার পর বাংলানিউজকে সে বলে, নেটে সার্চ করলে বাংলাদেশের জেনোসাইড বিষয়ে হাজার হাজার পেজ আসে। কিন্তু এই বইটি শেষ পর্যন্ত একটি সমৃদ্ধ দলিল। হাতে নিয়ে বই পড়ে যতটা আত্মস্ত করা যায়, আমি মনে করি অন্য কোনোভাবে তা অতটা হয় না।
 
হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল, আহমদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসসহ বিভিন্ন লেখকের একগাঁদা বই কিনেছেন যশোর থেকে মেলায় আসা সরকারি চাকরিজীবী পার্থ সারথী ঘোষ। বাংলানিউজকে তিনি জানান, মেলায় আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই।
 
কিন্তু কিছুতেই ছুটি পাচ্ছিলেন না। তাছাড়া মেলার শেষ ভাগে প্রায় সব নতুন বই মেলায় চলে আসে। যে কারণে প্রতি বছর তার লক্ষ্য থাকে শেষ ভাগের মেলায় এসে বই কেনা।
 
বড়দের পাশাপাশি বই কেনায় পিছিয়ে নেই ছোটরাও। মেলার শিশু কর্নারের স্টলগুলোতে তাই ভিড় প্রচণ্ড। অনেক অভিভাবকই হিমশিম খাচ্ছেন সন্তানের বইয়ের চাহিদা মেটাতে। তবে শিশু কর্নারের প্রকাশনী গুলোতে রূপকথা, সায়েন্স ফিকশন, রম্য বিষয়ক বই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে কথা বলে জানা গেছে।
 
মিরপুর থেকে মা-বাবার সাথে রোহান মেলায় এসেছে আজই প্রথম। রোহানের মা সায়লা শারমিন জেনি জানান, পাঁচটি বই কেনা হয়ে গেছে। কিন্তু রোহান আরো বই পছন্দ করেছে। তার সবক’টি হয়তো কিনে দিতে পারব না, কিন্তু বই এমন একটি জিনিস যা কিনে দিতে না পারলে মা-বাবা হিসেবে খারাপ লাগে। তাই বাজেটের বাইরে যেয়ে তাকে পছন্দের বইটি কিনে দিতে হচ্ছে।
 
শারমিন জেনির মতে, প্রত্যেক মা-বাবার উচিৎ মাসব্যাপী চলা এ বইমেলায় সময় করে তাদের সন্তানকে অন্তত একদিন নিয়ে আসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।