ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

একসূত্রে গাঁথা ভালোবাসা-বই

আদিত্য আরাফাত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
একসূত্রে গাঁথা ভালোবাসা-বই ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একহাতে বই আর লাল গোলাপ। অন্যহাতে প্রিয়জনের হাত।

ফুল, বই আর ভালোবাসা— এ যেন একই সূত্রে গাঁথা।

একগুচ্ছ লাল গোলাপের সঙ্গে নতুন বই তুলে দিয়ে প্রিয়জনকে অনেকেই খুশি করেছেন বসন্তের হলুদছোঁয়া ভালোবাসায়। শুধু লাল গোলাপ আর বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো না বইমেলার ভালোবাসা দিবসের আমেজ। মেলায় আসা প্রায় প্রত্যেকেরই সাজে ছিল ভালোবাসার রঙের ছোঁয়া।

শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালোবাসা দিবসের বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এমন চিত্রই দেখা যায়।

তরুণীরা বাসন্তী, লাল রঙের শাড়ি, খোঁপায় হলুদ গাঁদা, ‍লাল গোলাপ ফুল আর হাতে রিনিঝিনি কাচের চুড়ি। কেউ বা কপালে লাগিয়েছিলেন লাল টিপ। ভালোবাসার রঙে রঙিন এসব তরুণীর সঙ্গে বেমানান লাগছিল না তরুণদেরও। কারণ তারাও তো সেজেছিল ভালোবাসার রঙে। লাল পাঞ্জাবি, ফতুয়া বা কালো রঙের শার্ট পরে প্রিয়জনের হাত বাহুতে নিয়েই মেলায় ঢুকেছেন তরুণরা। তাদের এ আগমন শুধু ভালোবাসার আবেগে ছুটে চলা ছিলো না। ফলে বেচাবিক্রিও বেশ হয়েছে। বিকাল থেকেই মেলায় নামে বইপ্রেমীদের ঢল।

আগেরদিন পহেলা ফাল্গুন আর পরেরদিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস— সবমিলিয়ে এ দু’দিনের বেচাবিক্রি নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে প্রকাশকদের।

একে তো ছুটির দিন, অন্যদিকে ভালোবাসা দিবস। এ যেন একের ভেতর দুই। অবরোধ তাতে কি! উৎসবপ্রিয় বাঙালির ঘর ছেড়ে বের হতে আর কী লাগে?

বিকেলে দেখা যায়, শাহবাগ থেকে বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শহীদ মিনার হয়ে দোয়েল চত্বর অবধি পুরো এলাকা যেন জনসমুদ্র। আর ওই উত্তাল স্রোত ভেসেছে ভালোবাসার আবাহনে।

মেলার দুই ভেন্যু বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের যেন বান নেমেছে।

মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দেশের রাজনৈতিক এমন অবস্থার মধ্যে মেলায় যে ঢল নেমেছে গতকাল (শুক্রবার) ও আজ (শনিবার) তা অবাক করার মতো।

তিনি বলেন, মেলায় যারা আসেন তারা সবাই যে বই কিনবেন প্রকাশকরা এমন আশাও করে না। তবে দর্শনার্থী বাড়লে বিক্রিও বাড়ে। মেলাটা জমজমাট দেখতে কার না ভালো লাগে।

শনিবার বইমেলার দুয়ার খুলেছে বেলা ১১টায়। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এদিন শিশুপ্রহরের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর সরাসরি অংশগ্রহণ।

মেলায় আগত অনেকেই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন। শনিবার মেলা চলবে যথারীতি রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪টা থেকে মেলার মূলমঞ্চে চলছে ‘জাতীয় অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন রায়হান রাইন। আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম এবং জিয়া রহমান। সভাপতিত্ব করবেন এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সন্ধ্যায় এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

** মেলা মাতালো সিসিমপুর
** হাসান শান্তনুর ‘৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন’
** উদ্যানে লোক কম, প্রাঙ্গণে ভিড়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।