ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

নিজের বইয়ের বিক্রি নিয়ে টেনশন করতে চান মৌ

শিল্প-সাহিত্য প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
নিজের বইয়ের বিক্রি নিয়ে টেনশন করতে চান মৌ

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-য় প্রকাশিত হয়েছে তাসমিয়াহ্‌ আফরিন মৌ-র প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘বাক্সবন্দি’। ত্রিমাত্রিক অলঙ্করণে ব্যতিক্রমধর্মী কাপড়ের মলাটে বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।

২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মেলা প্রাঙ্গণে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।

মঙ্গলবার বইমেলা প্রাঙ্গণে সদ্য প্রকাশিত বই, সাম্প্রতিক লেখালেখি ও বইমেলা আয়োজন সহ নানা বিষয়ে তাসমিয়াহ্‌ আফরিন মৌ-এর সঙ্গে কথা হয় প্রবিবেদকের। মৌ জানান, গত বছরে লিখিত নির্বাচিত ২০টি গল্প স্থান পেয়েছে বইটিতে। ৭২ পৃষ্ঠার এ বইটির কমিশন পরবর্তী বিনিময় মূল্য ১৫০ টাকা।

তিনি বলেন, ‘গল্প লিখি অনেকদিন হয়, কিন্তু যা প্রকাশ হয়েছে—সবই গত এক বছরের মধ্যে। ’

বইয়ের ত্রিমাত্রিক প্রচ্ছদের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘আইডিয়া আমারই। কিন্তু যেমন চেয়েছিলাম তেমন হয়নি। বাইন্ডার কাজটা ঠিকমত করতে পারে নি। কাপড়ের প্রচ্ছদ। ফিনিশিং ভালো হয় নাই। ’

মেলায় এসে কেমন লাগছে এখন? আগে তো কখনও নিজের বই ছিল না মেলায়, এবার আছে...

‘আলাদা করে তেমন কিছু লাগছে না আসলে। প্রতিবারই মেলায় প্রযোজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমার বেশ কিছু ডকুমেন্টারি ফিল্ম থাকে। যদিও সেগুলো বই না, ফরম্যাট ভিন্ন। তবে এবার একটু টেনশন হচ্ছে, বই কেমন বিক্রি হবে তা নিয়ে। আগে তো এই টেনশনটা থাকত না। ’

 মানে বই বিক্রি নিয়ে আপনি টেনশনে আছেন?

‘হ্যাঁ তা তো আছিই। আমাদের এখানে বেশিরভাগ সময় দেখি লেখকরা বই প্রকাশের পর আর মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব নেন না, প্রকাশকের টেনশনটাও নেন না। অথচ বই প্রকাশটা প্রকাশকের জন্য বাণিজ্য আর লেখকের জন্যও জরুরি কারণ যত বেশি বই পাঠকের কাছে যাবে, লেখক তত বেশি তার ভাবনা পাঠকের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

অন্যদের কথা জানি না। তবে আমি অবশ্যই চাই আমার চিন্তা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে। সেটা লেখার মধ্য দিয়ে হোক বা সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে। আর সেটার প্রচার প্রসার নিয়ে চিন্তিত থাকায় আমার কোনও ইগো প্রবলেম নেই। ’

বইমেলা প্রাঙ্গণ সম্পর্কে তাসমিয়াহ্‌ আফরিন বলেন, ‘মেলায় এসে যেমন লাগে তেমনই লাগল। ধূলাটা সমস্যা। এটা সবসময়ই থাকে। বইয়ের গন্ধ নেবার আগে যদি ধূলার গন্ধ নিতে হয় তাইলে তো ভালো লাগে না!’

নিজের লেখা গল্পগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছোটগল্পে অল্প কথায় আমি বলতে পছন্দ করি, পাঠকের চিন্তার জন্য স্পেস থাকে। কারণ গল্পটা শুধু আমার না, পাঠকেরও। ফলে গল্পটা পড়ার পর পাঠক মনে করতে পারেন তিনি নিজেও আছেন, গল্পের মধ্যে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।