ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বিকাশ, ডেবিট-ক্রেডিটে

বইমেলায় বই কিনতে প্রযুক্তির ছোঁয়া

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
বইমেলায় বই কিনতে প্রযুক্তির ছোঁয়া ছবি: দীপু / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থ মেলা ঘুরে: প্রতিবছরের মতো এবারও অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাবাসসুম জামান। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে পছন্দের লেখকদের বই কিনছেন।

একটি স্টলে বেশ কয়েকটি বই পছন্দ হলেও মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে ঘটলো বিপত্তি। সঙ্গে নগদ টাকা যথেষ্ট নেই। এমন সময় দেখলেন মেলায় বই কিনতে বিকাশ দিয়েও মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। আর তার তো রয়েছে বিকাশ ওয়ালেট। নগদ অর্থের সমস্যা ঘুঁচিয়ে নিজের বিকাশ ওয়ালেট দিয়েই কিনে ফেললেন পছন্দের বইটি।
 
‘আমি বিকাশ ওয়ালেট খুলেছিলাম মূলত গ্রাম থেকে বাবার কাছ থেকে দ্রুত হাত খরচের টাকা আনতে। ’ তাবাসসুম উচ্ছ্বাস নিয়ে বলেন, কিন্তু এখন দেখি মেলায় বইও কেনা যাচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিনে ফেললাম বই। ’ শুধু তিনিই নন, তার মতো মেলায় আগত অনেক দর্শনার্থীই বই কিনে মূল্য পরিশোধ করছেন বিকাশ দিয়ে।

বই মেলায় কেনাকাটা এখন শুধুমাত্র নগদ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মেলায় আগত গ্রাহকরা বিকাশ বা ডেবিট ক্রেডিট কার্ড দিয়েও কেনাকাটা করতে পারছেন। এবারের মেলায় কেনাকাটায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে।

বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশের স্বনামধন্য ১২৪টি প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত বই কেনা যাচ্ছে বিকাশ দিয়ে। বিকাশ ব্যবহার করে বই কিনলে ১০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক পাবেন গ্রাহকরা। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বিকাশ ওয়ালেট ব্যাবহারকারীদের জন্য এই অফারটি চলবে বই মেলার শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিকাশ’র দেওয়া তথ্যমতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো বই বিক্রি হয়েছে বিকাশ ব্যবহার করে।

এ প্রসঙ্গে অনুপম প্রকাশনীর কর্ণধার প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বাংলানিউজকে বলেন, এটি অত্যন্ত পজেটিভ সাইন। বিকাশের মাধ্যমে যে সকল প্রকাশক বই বিক্রি করছেন তারা সবাই সন্তুষ্ট। অন্যদিকে বিকাশের পরিচ্ছন্ন সেবায় ক্রেতারাও খুশি।

কাকলী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী এ কে এম নাসির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরও বিকাশ দিয়ে বই মেলায় বই কিনতে পারেছেন ক্রেতারা। তবে গতবারের চেয়ে এবার বিকাশ ব্যবহারে বই কেনার সংখ্যা দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে। মানুষ এখন আর নগদ টাকা নিয়ে এতো ভিড়-ভাট্টায় আসতে চায় না। আর তাই তো নিরাপদে, স্বস্তিতে লেনদেনে তারা বিকাশকেই বেছে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিকাশ দিয়ে বই কেনায় এতো সাড়া পাবো প্রথমে ভাবিনি। প্রতিদিনই একটা বড় অংশের বই বিকাশের মাধ্যমে বিক্রি করছি। মানুষের সাড়া দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে ক্রেতারা বিকাশ দিয়ে বই কিনলে ১০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক পাচ্ছেন যা একটি বড় বোনাস তাদের জন্য।
 
ক্যাশ ব্যাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার একটা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- দুদিন আগে আমার প্রকাশনী থেকে এক ব্যক্তি হাজার টাকার বই কিনেন। এতে তিনি ১০০ টাকা তার ওয়ালেটে বোনাস পেয়েছেন। দেখলাম বেশ আনন্দিত হলেন তিনি। এই ধরনের উদ্যোগ যেমন মোবাইল ব্যাংকিংকে আরও যুগপোযোগী করে তুলছে, তেমনি মানুষকেও দিচ্ছে স্বস্তি মন্তব্য তার।

বিকাশ’র মুখপাত্র জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি, তা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। বিকাশ দিয়ে কেনাকাটায় অতিরিক্ত কোনো চার্জ প্রদান করতে হয় না।

তিনি আরও বলেন, এমনকি মেলায় আগত কোনো গ্রাহকের যদি সঙ্গে নগদ টাকার ঘাটতি থাকে তাহলে তিনি অন্য যেকোনো বিকাশ ব্যবহারকারী থেকে তার নিজের ওয়ালেটে এ টাকা গ্রহণ করে পছন্দের বইটি কিনতে পারবেন।
 
এদিকে, এবারের মেলায় শুধু বিকাশ নয়, বেশ কয়েকটি স্টলে বই কেনা যাচ্ছে ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

** ভিড়-বিক্রিতে স্বস্তি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।