ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মেলায় হুইলচেয়ার

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৬
অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মেলায় হুইলচেয়ার ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা: শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে হাঁটতে কষ্ট হয় বলে যাদের মেলায় ঘোরার শখ অপূর্ণ থেকে যায়, এবার তাদের জন্যও রয়েছে সুখবর। প্রতিদিন তাদের জন্য ১০টি করে হুইলচেয়ার থাকছে মেলাপ্রাঙ্গণে ঢোকার পথেই।

এদিক-সেদিক ঘোরাতে থাকছেন সহৃদয় ১০ তরুণও।

বাংলা একাডেমির ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থী এ সেবা দিচ্ছেন মেলায়। পর্যায়ক্রমে তারা ১০ জন করে থাকবেন প্রতিদিনই।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মেলার ৪র্থ দিনে সেবায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, আরিফুজ্জামান, শাহ আলম, ইসহাক, মঈনুল, ফয়সাল, আব্দুর রাজ্জাক, বায়েজিদ, আশিক ও ওয়াহিদ। তাদের সংগঠনটির নাম ‘সুইচ’।

মেলার দ্বিতীয় দিন (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে সেবায় আছে সংগঠনটি। প্রথম দিনে একজন, দ্বিতীয় দিনে (৩ ফেব্রুয়ারি) তিনজন হুইলচেয়ার সেবা নিয়েছেন।

গর্ভবতী নারী, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বেশিমাত্রায় অসুস্থরা এ সেবা পাবেন বলে জানান ১০ তরুণ। টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে চেয়ারগুলো রাখা হয়।

‘সুইচ’ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা একাডেমি আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। তারা ও আমরা চাই, মেলাটি সবার হোক। কেউ নিজেদের শারীরিক কষ্টের কারণে মনে আক্ষেপ রাখবেন, মেলায় আসতে চেয়েও পারবেন না- এটি যেন না
হয়, তাই এ উদ্যোগ। কেউ কেউ আবার হঠাৎ অসুস্থ হতে পারেন, দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। খুব সমস্যা হলে তাদেরও আমরা সেবা দেবো।

দুই বছরের শিশু কোলে মিরপুর থেকে এসেছেন সালমা রহমান। তিনি হুইলচেয়ার দেখে খুব আনন্দিত।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা বাবা প্রচুর বই পড়েন। যখন হাঁটতে পারতেন, কোনো মেলা মিস করতেন না। কয়েক দফায় আসতেন। গত তিনবছর আসতে পারছেন না পায়ের সমস্যায়। এবার আশা করছি, আসবেন তার প্রাণের মেলায়। সুখবরটা তাকে ফোনে দিয়ে রেখেছি ইতোমধ্যে।

সুইচ শুধু হুইলচেয়ার সেবা নিয়ে নয়, প্রতিজ্ঞা করাতেও এসেছে। মেলায় যত্রতত্র কেউ যেন ময়লা-আবর্জনা না ফেলে, সে প্রতিজ্ঞা করান সদস্যরা।

মেলায় ঢোকার পথে তারা শপথ করিয়ে নিচ্ছেন এই বলে যে, আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবো না, আপনি?

এ উদ্যোগটি বেশি পছন্দ করছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুপুরে মেলার শুরুতে ইউনিফর্মধারী শিক্ষার্থীর দেখা বেশি মেলে। শপথে তাদের আগ্রহ বেশি।

লালমাটিয়া থেকে সদলে আসা স্বর্ণা উচ্চস্বরে প্রতিজ্ঞা করলেন। বাংলানিউজকে বলেন, পরিচ্ছন্ন রাখাটাতো দরকার। নিজেদের মেলা, এক মাস থাকবে, পরিবেশ ভালো না হলে মন ভালো লাগবে ঘুরে?

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসকেএস/এএ

** মেলায় ফাগুন হাওয়ার মিষ্টি ধ্বনি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।