ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বাকি জীবন লেখালেখিতেই থাকবেন গুলতেকিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬
বাকি জীবন লেখালেখিতেই থাকবেন গুলতেকিন

গ্রন্থমেলা থেকে: জীবনের বাকিটা সময় লেখালেখি চালিয়ে যাবেন- এমনটাই ইচ্ছা প্রয়াত নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ'র সাবেক স্ত্রী গুলতেকিনের।

নিজের প্রথম বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এসে বললেন, ‘আমি লেখালেখি ধরে রাখতে চাই।

চালিয়ে যেতে চাই। ’- তার এমন ইচ্ছেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই করতালি দিয়ে শুভ কামনা জানালেন।

শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে গুলতেকিন খানের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হয়।

এতে গুলতেকিন বলেন, আমি লিখছি, লিখে যাচ্ছি, সেটা আমার নিজের মতো। বললেন, আমার প্রথম বই-'আজও, কেউ হাঁটে অবিরাম', এটি কবিতার বই। তাম্রলিপি প্রকাশনা থেকে বেরিয়েছে। যদি এর দু’য়েকটা লাইন, কোনো একটা কবিতা কারও ভাল লাগে, তাতেই আমি খুবই খুশি হবো। আমার এর বেশি কিছু চাওয়ার নাই।

তিনি বলেন, আমি লেখালেখি ধরে রাখতে চাই, সবাই আমার জন্য আশির্বাদ করবেন, যেন সেটা ধরে রাখতে পারি। যেটা শুরু করেছি কবিতায়।

বই ছাপানোর জন্য তাম্রলিপির প্রকাশক তারিকুল ইসলাম রনির উদ্দেশে তিনি বলেন, তাকে ধন্যবাদ, এই রকম একটা রিস্ক নেওয়ার জন্য। রনি বলেছে, কবিতার বই মাত্র পাঁচশ ছাপানো হয়। আমি ভাবলাম, আমি এতদিন শুনে এসেছি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের প্রথম সংস্করণই পাঁচ হাজার কপি ছাপা হয়!
আমিও শঙ্কিত সেটা নিয়ে। কবিতা পাঁচশ ছাপলেও নাকি বিক্রি হয় না!- হাসতে হাসতে তিনি বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, গুলতেকিন আমার ছাত্রী। একজন শিক্ষকের জন্য সবচেয়ে আনন্দের উপলক্ষ হলো, যখন তার ছাত্র বা ছাত্রী কোনো কিছু অর্জন করে এবং সেই অর্জনের মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারাটাও তারচেয়ে বেশি আনন্দের।

বইটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শিক্ষক হিসেবে সাহিত্য সমালোচনার দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাহিত্যের মাপকাঠি দিয়েও দেখলাম, এই কবিতার বইটি নিয়ে কিছু বলার নাই।

তিনি বলেন, গুলতেকিনের ওপর দিয়ে অনেক ‘ঘাত-প্রতিঘাত’ গেলেও তাকে কখনো মলিন হতে দেখিনি।

লেখালেখিতে নিজের ছাত্রী গুলতেকিন যেন ‘মানটা ধরে রাখতে পারে এবং আরও ‍উন্নতি ঘটাতে পারে’ সেই আশির্বাদ করেন তিনি।

প্রকাশনা উৎসবে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, কবি গোলাম ফারুক খান, কবি তুষার দাস, রম্যলেখক আহসান হাবিব, গুলতেকিন খানের মেয়ে নোভা আহমেদ।

সাংবাদিক গনি আদমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের পাঠানো বক্তব্য পড়ে শোনান প্রকাশক তারিকুল ইসলাম রনি।

গুলতেকিন মেলায় আসা বইটি উৎসর্গ করেছেন দাদা অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খানকে, লিখেছেন-‘প্রথম পাঠক, পথ প্রদর্শক, আমার দাদা প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খানকে’।
 
হুমায়ূনের অনেক বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষের আঁকা প্রচ্ছদে গুলতেকিনের বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
এডিএ/এসএইচ

** প্রাণের মেলায় প্রাণের জোয়ার
** কোলে-পিঠে চেপে মেলায় ঘুরে বেড়ানোর দিন
** সময়টা শুধু শিশুদের
** বইমেলায় রং-তুলি, শিশুদের লুটোপুটি
** বাংলা একাডেমিতে চলছে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
** বাংলা একাডেমির শিশু প্রতিযোগিতার ফরম বিতরণ শেষ বুধবার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।