ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বাংলানিউজকে বাংলা একাডেমির ডিজি

সবাই যেন বলতে পারেন অভাবনীয় আয়োজন

সৈয়দ ইফতেখার আলম, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৬
সবাই যেন বলতে পারেন অভাবনীয় আয়োজন ছবি: জি এম মুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, এ বছরের গ্রন্থমেলা দেখে যাতে সবাই বলতে পারেন, সত্যিই অভাবনীয় আয়োজন, এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, আমরা মেলাকে আরও সুন্দর করতে বদ্ধপরিকর।

তবে আমাদের একটু অসন্তুষ্টিও আছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পানির ব্যবস্থা করা, সেখানে চারদিকে পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে ধুলা দূর না করা পর্যন্ত আমরা থামবো না। আমরা চাই মেলায় আগত বইপ্রেমীরা যেন স্বস্তিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন। অভাবনীয় একটি আয়োজন এবার হয়েছে, এমনটা যাতে বলতে পারেন।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের সময় তিনি বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।

বাংলানিউজ: এ বছর মেলার প্রথম দিন থেকেই মানুষের ঢল, এ ব্যাপরে কী বলবেন?

শামসুজ্জামান খান: একে তো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো, অন্যদিকে খোলামেলা পরিবেশ। সব মিলিয়ে মানুষ শুরুর দিন থেকেই আসছেন। বই নিয়ে যাচ্ছেন। মেলায় এবার একটা সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে, যা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষকে মেলায় টেনে আনছে।

বাংলানিউজ: কলকাতা বই মেলার সঙ্গে আমাদের মেলার পার্থক্য কেমন দেখছেন?

শামসুজ্জামান খান: সেখানে তো বারোয়ারি মেলা। বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট থাকে। আর সব যেন ছড়ানো। এছাড়া তাদের মধ্যে বই কেনার প্রবণতা কম দেখি। বড় বড় গাড়ি নিয়ে এলেও মেলা থেকে ফেরার সময় বইয়ের ব্যাগ সঙ্গে থাকে না খুব একটা।

বাংলানিউজ: মেলায় এবার যেমন দর্শনার্থীরা আসছেন, তেমন বিক্রিও তো হচ্ছে -

শামসুজ্জামান খান: শুধু বাংলা একাডেমির শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকার বই। এক থেকে ছয় তারিখ পর্যন্ত সময়ে ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে বিক্রি। মেলার প্রথম দিকের এই হারই বলে দিচ্ছে কতখানি বিক্রি-বাট্টা এবার। অন্য প্রকাশকরাও বেশ ভালো বিক্রি করছেন।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাওয়া যাবে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত অভিধানসহ বিভিন্ন বই। বেশ কয়েকজন প্রকাশকের কথার ওপর ভিত্তি করে আমরা তাদের পাশেই স্টল দেবো- সেই সূত্রে আরও বেশি মানুষ যাতে আসেন।

নবীন লেখকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কবিতায় এখন কিছু ভালো কাজ তারা করছেন। ভাষা ও বাক্যে যাতে শুদ্ধতা এনে লেখা যায়, নবীনদের প্রতি সেই আহ্বান জানাই।

প্রকাশকদের বইয়ের মান এবং বইতে বানান ভুল বিষয়ে তার মত, একটি মেলা শেষ হলেই যেন তারা পরবর্তী মেলার কথা চিন্তা করে কাজ শুরু করেন। তবেই ভুল কমে যাবে। মানও ভালো হবে। কলকাতা বইমেলায় এমন ভুলের আধিক্য কম। কারণ তারা এ বিষয়ে অনেক সচেতন।

এর আগে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের হুমায়ূন চত্বরে ‘সালাহউদ্দীন আহমেদ সংবর্ধনাগ্রন্থ’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শামসুজ্জামান খান। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত এই বইটির মোড়ক উন্মোচনে আরও অংশ নেন- বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, গবেষক অধ্যাপক ড. গোলাম মোরশেদ। সঞ্চালনা করেন শায়লা হাবিব।

এ সময় সৈয়দ আনোয়ার বলেন, ইতিহাসবিদ সালাহউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে বাংলা একাডেমি বই প্রকাশ করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ।

গোলাম মোরশেদ বলেন, সালাহউদ্দীন আহমেদ সত্য উদঘাটনে তৎপর একজন ইতিহাসবিদ ও একজন মহৎ ব্যক্তি ছিলেন। তাকে আমরা চিরকাল স্মরণ রাখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
আইএ/আরএম

** ‘আঙ্কেল, জাফর ইকবাল কোনদিকে’
** গ্রন্থমেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ
** নতুন বই নেড়েচেড়ে দেখার আনন্দ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।