ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

একজন সাব-এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া দিন নিয়ে রুবাইয়াতের উপন্যাস

তানিম কবির, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
একজন সাব-এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া দিন নিয়ে রুবাইয়াতের উপন্যাস

বইমেলা থেকে: বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখক নাট্যকার রুবাইয়াৎ আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘একজন সাব-এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া দিন’। প্রথম উপন্যাস হলেও এটি তার ১১তম বই।

জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার-বিজয়ী উপন্যাসটি একই গ্রুপের প্রকাশনা বিভাগ কাগজ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। স্টল নম্বর: ৫২৩-৫২৪। বইটির বিনিময় মূল্য ২০০ টাকা।
 
বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রুবাইয়াত বলেন, আমি নিজে পেশায় একজন সাব-এডিটর। এই পেশা আমাকে এই শহরে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে, করছে। তো, দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় থাকার ফলে আমার ভেতরে কিছু প্রশ্ন, কিছু জিজ্ঞাসার জন্ম হয়। সেগুলোকেই মলাটবন্দি করার অভিপ্রায়ে এ উপন্যাস।

তিনি বলেন, এখানে ব্যক্তি আমাকে যেমন পাওয়া যাবে আবার সামগ্রিকভাবে এই পেশার মানুষের কোনো না কোনো দিকের খোঁজও মিলবে। তবে এ কখনোই আমার আত্মজীবনী নয়। বাস্তবের সঙ্গে বাস্তবের অধিক অনেককিছুর ফিউশন এতে রয়েছে। বাংলাসাহিত্যের যতটুকু খোঁজ জানি, তাতে এ বিষয়ে এরআগে কোনো উপন্যাস রচিত হয়েছে কিনা, জানা নেই। এ রচনার আর একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, একটি সংবাদপত্রের আঙ্গিককে উপন্যাসের আঙ্গিক কিংবা আদলে ধরার চেষ্টা। এ কারণে এটি পাঠের সময় উপন্যাসের চিরাচরিত যে রূপ আমাদের জানা, তার সন্ধান এখানে পাওয়া যাবে না। তবে যা পাওয়া যাবে তা হচ্ছে কিছু প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা। এসব প্রশ্ন অথবা জিজ্ঞাসা আপনার, আমার, আমাদের সবারই। নিজের পেশার প্রতি কৃতজ্ঞতা আর সাব-এডিটর পেশায় নিয়োজিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতার অভিজ্ঞান এ উপন্যাস।
এরআগে রুবাইয়াৎ হোসেনের অনুবাদে কবিতাগ্রন্থ, নাটকগ্রন্থ, গল্পগ্রন্থ, গবেষণাগ্রন্থ এবং চারটি মৌলিক আখ্যান, যাকে সাধারণভাবে বর্ণনাত্মক নাটক বলা যায়—প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আগেই বলেছি, এটি আমার প্রথম উপন্যাস। অবশ্য যে ধারায় আমি লেখার চেষ্টা করি তাতে করে আমার মৌলিক আখ্যানগুলোর সঙ্গে এ উপন্যাসের মোটা দাগে পার্থক্য নেই। কারণ শিল্পে আমিও দ্বৈতাদ্বৈতবাদী। অর্থাৎ, শিল্পের বিভাজন অস্বীকার করেই লিখতে চাই। তো একেও আখ্যান বললে সমস্যা নেই। আবার উপন্যাস বললেও দোষ হবে না।
 
বইটি কীভাবে লেখা হলো, কোন সময়ে লেখা। জানতে চাইলে রুবাইয়াত বলেন, আসলে একজন লেখক তো তার ভেতরে ক্ষরণ কিংবা আলোড়ন সৃষ্টি না হলে লিখতে পারেন না। তো সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নানা বিষয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। মানুষ হিসেবে ব্যক্তি আমি থেকে সামষ্টিক মানুষের নানা অসঙ্গতি নজরে আসে। তখন যে যন্ত্রণার সৃষ্টি হয় নিজের ভেতর তা থেকে মুক্তি পেতেই এটি লেখা শুরু করি। লেখা আমার কাছে প্রার্থনার মতো। আমি লিখতে বসেছি সেইসব যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পেয়ে আনন্দকে সঙ্গী করতে। আমার মনে হয়েছে, এক একটি শব্দ আমি লিখছি আর আমার ভেতরকার ক্লেদসমূহ একে একে দূর হয়ে যাচ্ছে। এরকম একটি অনুভূতি নিয়েই লিখে গেছি। এটি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল সময়পর্বে লেখা। অবশ্য পরিমার্জন করার সময় এ বছরের কিছু বিষয়ও যুক্ত হয়েছে।
 
বই প্রকাশের জন্য বইমেলার সময়টিকেই বেছে নিলেন কেন? বললেন, এই বইটি প্রকাশের জন্য সময়টি আমি নির্ধারণ করিনি। এই উপন্যাসটির পাণ্ডুলিপি জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার ২০১৫ অর্জন করে। তো, এরই অংশ হিসেবে যারা পুরস্কার দিয়েছেন তারাই এটি প্রকাশের অধিকারী। বইমেলায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত তাদেরই। তবে ব্যক্তিগতভাবে এই সময়েই বই প্রকাশের ব্যাপারে আমারও খানিক পক্ষপাত রয়েছে। কারণ, এই দেশে এই একটি মাস ছাড়া বছরের বাকি সময় খুব কম মানুষ বা পাঠকই বইয়ের খোঁজ-খবর রাখেন বা কিনতে আসেন। সারা দেশের পাঠকও এই সময়েই মেলায় আসেন। বই তো পাঠকমুখী। ফলে এই সময়ে বই প্রকাশ হলে পাঠকের কাছে পৌঁছানো তুলনামূলক সহজ হয়।
 
৮০ পৃষ্ঠার এ উপন্যাসটির প্রচ্ছদশিল্পী সব্যসাচী হাজরা। একজন সাব-এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া দিন-সহ ঘরে বসে বইমেলার যেকোনো বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
টিকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।