ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

আরও প্রচারের দাবি রাখে স্বাধীনতা দিবসের বইমেলা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
আরও প্রচারের দাবি রাখে স্বাধীনতা দিবসের বইমেলা! বনানীর রাজউক মাঠে আয়োজিত বইমেলা- ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগ এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি রাজধানীর বনানী মাঠে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নয় দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করে। 

বনানীর রাজউক মাঠে আয়োজিত বইমেলা প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) গিয়ে দেখা গেলো, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনীর ৫০টি স্টল অংশ নিয়েছে। কিন্তু এরকম মানের একটি মেলার যেরকম প্রচার হওয়ার কথা ছিলো সেরকম নেই।

এ বিষয়ে কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বনানী রাজউক মাঠে এবছরই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে হয়তো অনেকেই জানে না যে এখানে বইমেলা হচ্ছে। তবে যারাই আসছেন তারা বেশ প্রশংসা করছেন।  

৪২ নম্বর স্টলে সন্দেশ প্রকাশনীর কর্মকর্তা মো. মুজিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রচারণার পরিসর আরেকটু বাড়ালে ভালো হতো।  

তবে ৪১ নম্বর স্টলের ভাষাচিত্র প্রকাশনীর কর্মকর্তা ওসমান মনে করেন, গত ক’দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব জঙ্গি হামলা ও জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলেছে বা চলছে, সেসবও লোকজনের মেলামুখী না হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনানী, গুলশান এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দরকার না হলে মানুষজন এখন আর ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাইরে বেরোতে চায় না। এসব এলাকায় লোকজন কম আসা-যাওয়া করছেন।  

বনানী ১১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা সাদিয়া হক আঁখি। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়।

স্বাধীনতা দিবসের বইমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সাদিয়া হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জানতামই না এখানে বইমেলা হচ্ছে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দেখি মেলা হচ্ছে। পরে মেলাপ্রাঙ্গণে এসে দু’টি বই কিনলাম। মেলাটি সম্পর্কে সবাই জানলে আরও লোকসমাগম হতো। এরকম মেলা প্রতিবছরই হওয়া উচিত।  

মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলের কর্মকর্তার‍া বলেন, মেলাটি প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে এখানে। তাই অনেকে জানে না। কিন্তু প্রতিবছর যদি আয়োজন করা হয় তাহলে পাঠক-ক্রেতার উপস্থিতি বাড়তে থাকবে।

পুলিশের বিভাগের গুলশান অংশ এমন একটি বইমেলার আয়োজন করায় তারা উদ্যোগটির প্রশংসাই করলেন।

মেলা নিয়ে ডিএমপি’র গুলশান জোনের ডিসি এসএম মোস্তাক আহমেদ খান বলেন, সারাদেশে যেভাবে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে, সেই জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা বাড়াতে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম বেশি বেশি বই পড়ুক, দেশের সঠিক ইতিহাস জানুক।

২৩ মার্চ শুরু হওয়া বইমেলা শেষ হবে শুক্রবার (৩১ মার্চ)। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মেলাপ্রাঙ্গণ উন্মুক্ত।

নয় দিনব্যাপী এ মেলায় প্রতিদিন বাচ্চাদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এমএ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।