ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

প্রাণের মেলায় বাসন্তী ঘ্রাণ

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
প্রাণের মেলায় বাসন্তী ঘ্রাণ বই মেলায় বসন্তে ছোঁয়া/ছবি: সুমন শেখ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বসন্ত আসতে এখনো দু'দিন বাঁকি। তবে এ দু'দিনেরও আগে থেকেই বইমেলার বাতাসে লেগে গেছে বসন্তের ঘ্রাণ।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেলার ঝাঁপি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ঢল নামে প্রাণের মেলায়। এসময় বসন্তের আমেজে নারীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হাতে-খোঁপায় হলুদ গাদা ফুলসহ বাহারি ফুলে নিজেদের সাজিয়ে আসেন মেলা প্রাঙ্গণে।

সেই সঙ্গে হাতে বাজে রিনিঝিনি শব্দে কাঁচের চুড়ি। অনেকে আবার পরিবারসহ মেলায় এসেছে বসন্তের সাজে। পুরুষরাও নিজেদের সাজ-পোশাকে রেখেছে বসন্তের ছোঁয়া।

মেলার দ্বিতীয় লগ্নে বিকেল ৩টা থেকে মেলা শুরু হলেও বেলা একটা থেকেই বইমেলার প্রবেশমুখে ছিল বেশ ভিড়। বইমেলা ছাড়াও দোয়েল চত্বর, শাহবাগ-টিএসসি সড়কেও তরুণ-তরুণীদের জমিয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে এদিন। এছাড়া মেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে আগত তরুণ-তরুণীদের হাতে ছিলো ফুল, কারোবা খোঁপায় ফুল। প্রায় সবাই লাল, হলুদ, সবুজ, বেগুনী, কমলা বা সাদায় নিয়েছেন বাসন্তী সাজ।

হলুদ শাড়ি পরে আর মাথায় ফুল দিয়ে বইমেলা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পুরান ঢাকার রাজিয়া মৃত্তিকা। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খুব মজা করছি। পছন্দের বই কিনলাম। যদিও বসন্ত এখনো আসেনি, তবুও বাসন্তী সাজে এলাম, বন্ধুরাও এসেছে। বসন্ত আর বইমেলা দু’টোই তো চমৎকার, সেজন্য দু’টোকে একসূত্রে বাঁধা আরকি।

এদিকে মাঘের শেষ এ লগ্ন ও বসন্তের আগমনী সুরে মিষ্টি এ সময়ে প্রিয়জনকে দেওয়ার জন্য সেরা উপহার বই। এমনকি সুন্দর একটি বিকেল ও সন্ধ্যার প্রত্যাশায় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যও এই মেলাই। প্রাণের মেলায় প্রাণের একটা টান আছে না! সে টানেই বুঝি মেলার ১০ম দিন শনিবার প্রকাশিত হয়েছে ২২৫টি বই। নতুন এ বইগুলোর মধ্যে ১০দিন কবিতার বই ছিলো বেশি। এছাড়া উপন্যাস ও গল্পসহ কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাসও ছিল বেশ।  

নতুন বইগুলোর মধ্যে নবযুগ এনেছে নরেশ ভূইয়ার ‘দীপার সারাবেলা’, বিদ্যা প্রকাশ এনেছে ফখরে আলমের ‘দুই বাংলার পুতুল’, অনন্যা এনেছে মুনতাসীর মামুনের ‘উনিশ শতকে বাংলা সংবাদ সাময়িক পত্র’, ফরিদুর রেজা সাগরের ‘সিঙ্গাপুরের ডালপুরী ও ছয় ফিলিপ’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘একটি রহস্য উপন্যাস’, সময় প্রকাশন এনেছে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর ‘আমি জেনারেল’, দন্তস্য রওশনের ‘উড়ে গেল গাছটা’, ফরিদ আহমেদের ‘হুমায়ূন আহমেদের উত্তরাধীকারী নির্ধারণ’, শ্রাবণ এনেছে তৌফিক ই এলাহী চৌধুরীর ‘চ্যারিয়ট অব লাইফ’, বিদ্যা প্রকাশ এনেছে মোহিত কামালের ‘বাংলাদেশের তরুণদের ৩০ গল্প’, কথা প্রকাশ এনেছে সুমন্ত আসলামের ‘অদৃশ্য আতংক’, ইকবাল খন্দকারের ‘রহস্যময় গুহা’, ঐতিহ্য এনেছে জাভেদ হোসেনের ‘মীর তকি মীর গজল থেকে’, জীবনানন্দ দাশের ‘কল্যাণী’, অনিন্দ্য এনেছে মোশতাক আহমেদের ‘ছায়াস্বর্গ’, বাংলা একাডেমি এনেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘শওকত ওসমান জন্ম শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ’।

বাংলাদেশসময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।