ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

গ্রন্থমেলায় একুশের ছোঁয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
গ্রন্থমেলায় একুশের ছোঁয়া গ্রন্থমেলায় একুশের ছোঁয়া/ছবি: জিএম মুজিবুর

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: পৃথিবীতে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে একমাত্র বাঙালি জাতির। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার দাবিতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে চিনিয়েছে নতুন করে। সেই একুশ আবার ফিরে এসেছে। আবার এসেছে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।

বাঙালির এ বীরত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মৃতিপটে ধারণ করে রাখতেই ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার নামকরণও করা হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। জাতির মহান এ দিনে গ্রন্থমেলায় স্বভাবতই লেগেছে একুশের ছোঁয়া।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে অধিকাংশের গন্তব্যস্থল ছিলো বাংলা একাডেমির বইমেলায়। শহীদ মিনার থেকে বের হওয়ার রাস্তা দোয়েল চত্বরের দিকে হওয়ায় বইমেলায় প্রবেশ করতে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন সবাই। শহীদ মিনারের জনস্রোত মিশে গিয়েছে মেলার একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে।

এদিন মেলায় আসা বেশিরভাগ বইপ্রেমী-দর্শনার্থীদের সাজে ছিলো একুশের ছাপ। মাথায় একুশের ক্যাপ, ফিতা; গালে ও কপালে বর্ণমালা, শহীদ মিনারের ছবি সবমিলিয়ে সর্বত্র মহান একুশকে স্মরণ করার প্রয়াস।

ছেলেরা সাদা-কালো পাঞ্জাবি, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই সম্বলিত টি-শার্ট পরিধান করেছেন। আবার অনেকে ভাষা শহীদদের প্রতিকৃতি আঁকিয়েছেন নিজ জামায়। অনেকে বইমেলায় এসে তারা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য, ঐতিহাসিক স্থান, ভাষা আন্দোলন নিয়ে লাগানো ফেস্টুনের সঙ্গে নিজেদের ফ্রেম বন্দি করছেন।

বাংলা একাডেমির মোদের গরব ভাস্কর্যের সামনে বন্ধুদের নিয়ে ছবি তুলছিলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আবু সায়িদ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি সকালে। তারপর সরাসরি সবাই মিলে বইমেলায় চলে এসেছি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে বই কিনবেন বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে মেলায় আজকে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে একুশের বই। ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের স্টলে বাবা মুমিনুল ইসলামের সঙ্গে একুশের বই খোঁজ করছিলেন ওয়ারী মৈত্রী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রেদওয়ানুল ইসলাম। বাংলানিউজকে এ খুদে পাঠক বলেন, আজকে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। সেজন্য একুশের কবিতা বইটা কিনলাম।

এছাড়া ছুটির দিন হওয়ায় মেলার শিশুচত্বরে শিশুদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্য করার মতো। মাসব্যাপী এ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভীষণ ভিড় থাকে বিশেষ তিনটি দিবসে। পহেলা ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস চলে গেলেও প্রকাশকরা অপেক্ষা করেছিলেন আজকের দিনটির জন্য। কারণ মেলায় সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে একুশে ফেব্রুয়ারি।

তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সোহরাব বাংলানিউজকে বলেন, যতোই লোকসমাগম হবে, বিক্রিও ততই ভালো হবে। আশা করছি আজকে প্রচুর বই বিক্রি হবে।

** হাঁটি হাঁটি পা পা, বর্ণমালা ছুঁয়ে যা

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।