ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

কাটতিতে আছে 'একটি গল্পের গল্প'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
কাটতিতে আছে 'একটি গল্পের গল্প' ’একটি গল্পের গল্প’ বইয়ের প্রচ্ছদ

ঢাকা: ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তাধারায় সমাজের বিষয়াবলিকে বা কখনও কল্পনাকে গল্প বা কবিতার আকার দিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকে প্রতিটি লেখক বা কবির। আর সেই গল্প বা কবিতাটিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বইয়ের মত সর্বোত্তম মাধ্যমটির বিক্রির দিকে বেশি নজর পড়ে যায় নতুন লেখকদের। তাই বইমেলায় বইয়ের কাটতির একটা বড় স্বপ্ন সবসময় দেখেন নতুন লেখকরা।

প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই একটা বাউন্ডুলে মন থাকে যেমনটি হুমায়ূন আহমেদ দেখিয়েছেন তার সৃষ্ট ‘হিমু’ চরিত্র, আর প্রেমাঙ্কুর আতর্থী দেখিয়েছেন তার 'মহাস্থবির জাতক' এর স্থবির চরিত্র কিংবা শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত চরিত্রে। এখনকার লেখকেরা বেশিরভাগই শহুরে বলে তাদের বাউন্ডুলে চরিত্র গুলো নগরজীবন কেন্দ্রিক।

 

দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত  লেখক জামশেদ নাজিম তার "একটি গল্পের গল্প'' এর 'রঘু'র মধ্য দিয়ে তেমনি একটি বাউন্ডুলে চিত্রায়নের প্রয়াস ঘটিয়েছেন। কিছু কিছু অসম্পূর্নতা আছে তবে নবীন লেখক বিবেচনা করলে সেটা উপেক্ষা করা যায়।  

এই অসম্পূর্নতার বিষয়ে লেখক বলেন, সমাজের চলমান ধারাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আর এটা ধারাবাহিক গল্প। পরবর্তী অংশ প্রায় ২৫০০ পৃষ্ঠার একটি বই ইতোমধ্যে লেখা হয়ে গেছে। আগামী বইমেলায় এটি আসবে। আর এর পরবর্তী  বইটি নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী।  

দাঁড়িকমা প্রকাশনীর প্রকাশক কামরুল হাকিম নাহিদ বাংলানিউজকে জানান, দাঁড়িকমা প্রকাশনীর এবারের সবচেয়ে বেশি কাটতি যাচ্ছে এ বইটি। প্রতিদিন প্রায় ১০ কপি আর ছুটির দিনে প্রায় ৪০ কপি বিক্রি হচ্ছে। আর পাঠকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।  

মূলত ‘একটি গল্পের গল্প’ শিরোনামে সমাজের বলা-না বলা, সামাজিক অবক্ষয়, প্রেম-ভালোবাসাসহ সমাজের নানা দৃষ্টিকোণ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন লেখক।

অমর একুশে বইমেলায় দাঁড়িকমা প্রকাশনীর ৬৬৬ নং স্টলে মেলার প্রথম দিন থেকেই বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমএএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।