ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

পর্দা উঠলো অমর একুশে বইমেলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
পর্দা উঠলো অমর একুশে বইমেলার বইমেলা উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: পর্দা উঠলো বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় আয়োজন মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এই বইমেলা রূপ নেবে লেখক-পাঠকের মিলনমেলায়।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার নিয়ে ১৬ বার বইমেলার উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা।


 
মেলা উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত চার কবি-সাহিত্যিকের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

এবার কবিতায় কাজী রোজী, কথাসাহিত্যে মোহিত কামাল, প্রবন্ধ ও গবেষণায় সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে আফসান চৌধুরী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানি আমলের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো নিয়ে সংকলিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচনও করেন প্রধানমন্ত্রী। বইটির মোট ১৪ খণ্ড প্রকাশিত হবে। গত সেপ্টেম্বরেই গণভবনে প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

পুরস্কার প্রদান ও মোড়ক উন্মোচনে পর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বইমেলা শুধু কেনাবেচা নয়, বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। এখানে লেখক-পাঠক-বইপ্রেমীদের মিলনমেলা ঘটে।

বইমেলার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন প্রায়ই বইমেলায় আসতাম। এখনতো সরকারে বলে অনেকটা বন্দিজীবনেই থাকতে হয়। নিরাপত্তার কারণে অন্যের যেন সাধারণ মানুষের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য আসি না। তবু সবসময় বইমেলায়ই মন পড়ে থাকে। প্রথম দিনেই অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইপ্রেমীদের ভিড়।  ছবি: জিএম মুজিবুরবইয়ের চাহিদা কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনতো সব ডিজিটাল হয়ে গেছে। মোবাইল বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে বই পড়ে সবাই। কিন্তু আমরা যত যান্ত্রিকভাবেই বই পড়ি না কেন, নতুন মলাট খুলে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে বই পড়ার যে আনন্দ, সেটা অনুভব হয় না। অবশ্য অনলাইনে বই থাকলে সবার কাছে পৌঁছানো যায়, সেটাও জরুরি।

সরকার দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে চলবে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ আমাদের বাংলাদেশ, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিশরীয় লেখক-গবেষক মোহসেন আল আরিশি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।