ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বইয়ের ঘ্রাণে সিসিমপুরে শিশুদের দুরন্তপনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
বইয়ের ঘ্রাণে সিসিমপুরে শিশুদের দুরন্তপনা শিশু চত্বরে সিসিমপুরের স্টলে শিশুদের দুরন্তপনা | ছবি: জিএম মুজিবুর

অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বয়সের হিসেবে এখনো আড়াই পেরোয়নি রায়ানের। বাবা নিমপিয়া প্রকাশনীর প্রকাশক করুণাংশ বড়ুয়ার হাত ধরে এসেছে বইমেলায়। স্টল থেকে নিজের পছন্দমতো নিয়েছে ‘ব্রাজিলের রূপকথা’। 

শিশু চত্বর থেকে ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’র সুর কানে আসতেই রায়ান বায়না ধরলো সিসিমপুরের মঞ্চে যাওয়ার। শিশুদের জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র ইকরি, হালুম, টুকটুকি, শিকোর উপস্থিতিতে মেলায় আসা ছোট্ট শিশুকিশোররা বইয়ের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে দুরন্তপনায়।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিনে চলছে প্রথম শিশুপ্রহর। বেলা ১১টায় মেলার দুয়ার উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিভাকরা শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এবার শিশু চত্বরকে সাজানো হয়েছে বিচিত্র সাজে।

সিসিমপুরের পরিবেশনা দেখার জন্য এসেছে খিলগাঁও পল্লিমা সংসদের ছাত্র মুনিফ মোত্তাকিম। সে কিনেছে রঙে রাঙাও নামে আঁকার বই। তার বাবা মুনির হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই বলতেছে সে বইমেলায় সিসিমপুর দেখবে। ওর জন্যই বইমেলায় আসা।
শিশু চত্বরে  পছন্দের বই খুঁজে নিচ্ছে শিশু-কিশোররা | ছবি: জিএম মুজিবুরবেলা ১২টার পর সিসিমপুরের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ। তিনি বলেন, সিসিমপুর গত কয়েক বছর ধরে শিশুদের জন্য ভালো কাজ করছে। শিশুদের জন্য বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে মেলায় হাজির হয় সিসিমপুর।

সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে বাচ্চাদের জন্য নানা রকমের বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। বইয়ের মধ্যেও বৈচিত্র্য আছে।  আমরা এমন বই তাদের হাতে তুলে দিয়েছি যেন তারা দক্ষতার সাথে জীবন শুরু করতে পারে। এজন্য আমরা বলি, পড়ি বই জানতে, জানতে বড় হই।

উপস্থিত শিশু-কিশোররা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দারুণ উপভোগ করেছে। সঞ্চলক জানতে চাইলো,  হালুম কী পছন্দ করে? সবার সমস্বরে উত্তর—খেতে পছন্দ করে। আমরা তাকে দেখতে চাই। এরপর একে একে কার্টুন চরিত্রগুলো পরিবেশনার মাধ্যমে আনন্দ দেয় শিশুদের।

বাঙালির প্রাণের উৎসবকে বইমেলায় সন্তানকে নিয়ে আসা প্রকাশক করুনাংশ বড়ুয়া বলেন, আমার বাচ্চার মা কম্বোডিয়ান। রায়ানকে বইমেলায় এনেছি সে যেন আমাদের সংস্কৃতির সংস্পর্শ পায়।

সাভার হাজী হাতেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আব্দুল্লাহ এসেছেন মেয়ে অনন্যা তাসনীম পূর্ণতাকে নিয়ে। বিভিন্ন স্টল থেকে কিনছেন গোটা দশেক বই। তিনি বলেন, সময় পেলেই বইমেলায় আসা হয়। মেয়ের জন্য ছবি ও গল্পের বই নিয়েছি।

ঘাসফড়িং স্টল থেকে দুই মেয়ের জন্য ছোটদের গল্প ও ধাঁধাঁর বই নিয়েছেন তানিমা আহমেদ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বই হচ্ছে বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এজন্য মেয়েদের সুস্থ বিনোদনের জন্য বইমেলায় আসি। ওদের পছন্দ হলে কিনে দেই।

শিশুপ্রহর উপলক্ষে শিশুচত্বরের স্টলগুলোর মধ্যে সিসিমপুরে ভিড় ছিলো সবচেয়ে বেশি। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কর্মী রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রি মোটামুটি ভালোই চলছে, সামনে আরো বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুরায়ি ০২, ২০১৯
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।