ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলার ষষ্ঠ দিনে গল্প-উপন্যাসের প্রকাশ বেশি

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
বইমেলার ষষ্ঠ দিনে গল্প-উপন্যাসের প্রকাশ বেশি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে দর্শণার্থীরা। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার প্রথম থেকেই প্রকাশে এগিয়ে আছে কবিতার বই। সে ধারাবাহিকতা ষষ্ঠ দিনেও অব্যহত থাকলেও কবিতার পরেই এদিন প্রকাশে এগিয়ে আছে গল্প এবং উপন্যাসের বই।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মেলায় নতুন বই এসেছে ১৫২টি। এরমধ্যে গল্প ৩১, উপন্যাস ২২, প্রবন্ধ ৪, কবিতা ৪০, গবেষণা ২, ছড়া ১০, শিশুসাহিত্য ১, জীবনী ৪, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৮, নাটক ১, বিজ্ঞান ৪, ভ্রমণ ৩, ইতিহাস ২, রাজনীতি ১, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ২, রম্য/ধাঁধা ১, সায়েন্স ফিকশন ৩ এবং অন্যান্য ১৩টি।

এরমধ্যে ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্তের ‘লাল গালিচার জাদু’, আগামী প্রকাশনী থেকে রফিকুল ইসলামের ‘বীরের এ রক্ত স্রোত মাতার এ অশ্রুধারা’, বিভাস থেকে শামসুর রাহমানের ‘যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে’, নালন্দা থেকে সুধাংশু শেখর বিশ্বাস এর ‘নমস উপাখ্যান’, সময় প্রকাশন থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘নির্বাচন ও প্রশাসন’, অনন্যা থেকে মহাদেব সাহার ‘কোথায় পাই দিব্যজ্ঞান’, বটেশ্বর বর্ণন থেকে রফিকুর রশিদের ‘না গৃহ না সন্ন্যাস’, ঐতিহ্য থেকে সৈয়দ শামছুল হক এর ‘হাফিজের কবিতা’ এবং পিয়াস মজিদের ‘জীবনানন্দ আমার অসুখ ও আরোগ্য’ উল্লেখযোগ্য।

বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়: জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবুল হাসনাত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিমল গুহ, গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং শোয়াইব জিবরান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘প্রিয় ফুল খেলার দিন নয় অদ্য’ কিংবা ‘কমরেড নবযুগ কি আনবে না’ তার এসব অবিনাশী পঙ্ক্তিমালার মধ্যে আমাদের অনেকেরই মানস পুষ্টি অর্জন করেছিল ও আমরা এর মাধ্যমে সময়ের দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে উপলব্ধি করেছিলাম, নবচৈতন্যের আলোকে। আমরা এসব কবিতার মর্মভেদী আবেদনকে অনুভব করেছিলাম জীবনকে মেলাবার আবেদন; প্রিয়ার সান্নিধ্য ও তার বাহুডোরকে পরিত্যাগ করে স্বপ্ন ছিঁড়ে জনমানুষের কল্যাণ ও মঙ্গলের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায়।  

আলোচকরা বলেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় বাংলা কবিতায় নতুন যুগের উদ্যোগতা। তিনি জনমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে কবিতার শব্দে, ছন্দে শিল্পরূপ দিয়েছেন। কবিতা তার কাছে কোনো উপরিতলার প্রসাধন ছিল না বরং কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি নিজের জীবন এবং একই সঙ্গে সমষ্টির জীবন যাপন করেছেন।  

সভাপতির বক্তব্যে আসাদ চৌধুরী বলেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় কবিতার মধ্য দিয়ে সময়কে ধারণ করেছেন। কবিতার পাশাপাশি গদ্য ও অনুবাদে তিনি রেখেছেন স্বাতন্ত্র্যের স্বাক্ষর। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের তিনি ছিলেন এক ঘনিষ্ঠ সুহৃদ। তার মতো কবি মানুষের জন্মশতবর্ষে বাংলা একাডেমির এ আয়োজন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও প্রশংসনীয়।  

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি ফারুক মাহমুদ এবং ফারহান ইশরাক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আশরাফুল আলম এবং শিরিন ইসলাম। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আবুবকর সিদ্দিক, স্বপ্না রায়, আজগর আলীম, শফিউল আলম রাজা, অনিমা মুক্তি গোমেজ।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার সপ্তম দিন। এদিন মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই: জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এ আয়োজনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৌমিত্র শেখর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, জীনাত ইমতিয়াজ আলী, শহীদ ইকবাল এবং তারিক মনজুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।