ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলা প্রাঙ্গণে বিদায়ের সুর

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
বইমেলা প্রাঙ্গণে বিদায়ের সুর শেষ দিনের বইমেলায় আগতরা | ছবি: ডিএইচ বাদল

বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: শেষ কয়েকদিনের বৃষ্টির রেশ এখনো আছে। কোথাও পানি জমা, আবার কোথাও অল্প অল্প কাদা। এর মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এদিক-সেদিক থেকে ভেসে আসছে কোকিলের কুহুতান। পড়ন্ত বিকেলে চমৎকার বাতাস আর সেই কুহুতান সঙ্গে নিয়ে চলছে বইয়ের কেনাবেচা। তবে সবার মাঝেই আছে একটু তড়িঘড়ি। কেননা, মেলার সমাপ্তি রেখা এখন আর সপ্তাহ বা দিন নয়, পরিণত হয়েছে ঘণ্টায়।

শনিবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মেলায় জনসমাগম ছিল সাধারণ দিনের মতো। তবে সকালের তুলনায় বিকেলে কিছু ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আর সেই ভিড়ের সঙ্গে কেনাবেচার মধ্যেই বাজছে বিদায় রাগিণী।

এদিন মেলায় আগতদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, পুরোটা সময় মেলাজুড়ে যেমন ছিলো দারুণ পাঠপ্রক্রিয়া। ছিলো বেদনার সুর। আর অনেকের কণ্ঠে মেলা শেষের আক্ষেপও।

বইমেলায় আগত বইপ্রেমী হাবিবুর রহমান বলেন, আজ মেলার শেষ দিন। তাই কিছু বই কিনবো তবে আগেই সব প্রয়োজনীয় বইগুলো কেনা হয়ে গেছে। তবে খারাপ লাগছে যে, আজ মেলা শেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন কত মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। দিন শেষে মেলায় এসে একটা উৎসবের আমেজ বোধ করতাম। আগামীকাল থেকে সেটি আর হবে না। বরং অপেক্ষা করতে হবে আরো ১১টি মাস।
শেষ দিন সকালের বইমেলায় | ছবি: ডিএইচ বাদলতবে এদিন বিদায়ের সুর শোনা গেলেও বিক্রি হয়েছে বেশ। প্রায় সবাইকে দেখা গেছে বই হাতে ঘুরতে। বইপ্রেমীদের সাথে আড্ডা দিতে এসেছিলেন বিভিন্ন সাহিত্য ভালোবাসা মানুষগুলোও। মেলার শেষ দিন বলেই তারা এসেছিলেন।

বিভিন্ন প্রকাশনীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেছেন, মেলায় শনিবার থাকবে শেষ দিনের বিকিকিনি। যারা এখনও প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ করেননি, তারাও বই কিনবেন। পাঠক-প্রকাশক সবার কাছেই এ দিনটি বেশ কাঙ্ক্ষিত। কারণ আবার এক বছর পর মেলা হবে। তাই পাঠকরা যেমন বই কিনবেন, তেমনি প্রকাশনাগুলোও শেষ মুহূর্তে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তবে শেষ হবার আগেই একবার শেষ হয়ে যাওয়ায় বিকিকিনি কিছুটা কমও হতে পারে।

এর আগে শুক্রবার শেষ লগ্নে মেলার ২৯তম দিনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। শনিবারও তেমন হবে বলেই মনে করছেন সবাই। এ বিষয়ে অন্বেষার স্বত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন বলেন, সবসময়ই মেলার শেষের দিনগুলোতে বিক্রি ভালো হয়। এবারও তাই হয়েছে। বৃষ্টিতে কিছুটা ছন্দপতন হলেও বিক্রি সন্তোষজনক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।