ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

মুক্তিযুদ্ধে নারীরা বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
মুক্তিযুদ্ধে নারীরা বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন  মঞ্চে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনসহ অন্যরা। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা:  মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি নারীরা যে অসীম সাহস ও বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন তা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: মুক্তিযুদ্ধ ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মনিরুজ্জামান শাহীন। আলোচনায় অংশ নেন মোহাম্মদ জাকীর হোসেন এবং এ কে এম জসীমউদ্দীন।

সেলিনা হোসেন বলেন, নারী-পুরুষের যৌথ শক্তিতেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সফলতা লাভ করে। প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছাড়াও নারীরা সমাজের নেপথ্য-শক্তি হিসেবে সমাজ-কাঠামো ধরে রেখেছিল বলেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ পুনর্গঠন সম্ভব হয়েছিল।

প্রাবন্ধিক মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, সাধারণত মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকাকে দেখা হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হিসেবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশে নারী সমাজের রয়েছে অসাধারণ ভূমিকা। দেশমাতৃকার টানে জীবন বাজি রেখে তাদের অনেকে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ ও রণাঙ্গণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

তিনি বলেন, সংগঠকের দায়িত্ব পালন, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে প্রশিক্ষণ গ্রহণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে থাকা, শত্রুশিবিরের তথ্য সংগ্রহ করা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখাসহ বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেন। নারীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভূমিকা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ সহজ ছিলো না।

আলোচকরা বলেন, বাংলার আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে নারীর প্রতিবাদী, বিদ্রোহী ও যোদ্ধা-রূপ নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও নারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যায় বাঙালি জাতিকে। লড়াইয়ে অংশগ্রহণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পর্যায়ে নারীর ভূমিকা ছিল অনন্য।

তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা ছাড়াও দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন গড়ে তোলায় নারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। মুক্তিযুদ্ধে নারীর অসীম সাহসিকতা ও বহুমাত্রিক ভূমিকার কথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

মঙ্গলবার ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন মোহিত কামাল, জাহেদ সারওয়ার এবং অনন্ত উজ্জ্বল।

বুধবারের আয়োজন

বুধবার (২৪ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার ৭ম দিন। এদিন মেলা চলবে বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: মুক্তিযুদ্ধে সংবাদ সাময়িকপত্র’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাফর ওয়াজেদ। আলোচনায় অংশ নেবেন মোহাম্মদ সেলিম, মো. এমরান জাহান এবং কুতুব আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

বাংলাদেশ সময় ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।