ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

ঝড়-বৃষ্টির পর লকডাউনে ভিন্ন রূপে বইমেলা

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২১
ঝড়-বৃষ্টির পর লকডাউনে ভিন্ন রূপে বইমেলা ছবি: জিএম মুজিবুর

বইমেলা থেকে: অমর একুশে বইমেলা তার ১৯তম দিনে এসে দেখা দিয়েছে ভিন্ন এক রূপে। একেতো লকডাউন পরিস্থিতিতে বইমেলার প্রথম দিন, এরপর দুপুর ১২টায় বইমেলা শুরু হওয়ায় পাঠক-দর্শনার্থীও একেবারেই কম।

তবে সেসব বিষয় পাশ কাটিয়ে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা হচ্ছে রাতের ঝড়-বৃষ্টির পর প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলো ঠিক করা এবং ভিজে যাওয়া বইগুলো শুকিয়ে নতুন করে ঘরে তোলা।  

এসব ছাড়াও ২টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল মেলার অধিকাংশ স্টল। এছাড়া কয়েকজন প্রকাশককে বইমেলায় একেবারেই স্টল বন্ধ করে ফেলতে দেখা গেছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) মেলা শুরু হওয়ার প্রথম প্রহর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দুপুরে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায় বিশ্বসাহিত্য ভবন প্রকাশনী, কাকলি প্রকাশনী, অন্যপ্রকাশ, আগামীসহ বেশকিছু প্যাভিলিয়ন ও স্টলকর্মী রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বই রোদে শুকাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ব সাহিত্য ভবন প্রকাশনীর মোহাম্মদ কাউসার বলেন, রাতের বৃষ্টিতে অনেক বই ভিজে গেছে। উপর থেকে পানি পড়েছে এবং বৃষ্টির ঝাপটাতেও বেশ কিছু বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্টলেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়েছে।

কাকলী প্রকাশনীর রেজাউল করিম বলেন, একেতো দুপুর ১২টায় বইমেলা শুরু, এরপর লকডাউন চলছে। ফলে মেলায় এখন কোনো পাঠক নেই। এর ভেতর গত রাতের বৃষ্টিতে ভিজে গেছে অনেক বই। বৃষ্টির পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যাভিলিয়নের মেঝে এবং সেখানে থাকা বইগুলো।

এদিকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেলার অধিকাংশই স্টল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তুলনামূলকভাবে যেসব স্টলগুলো খোলা ছিল, তার চেয়ে বন্ধ থাকা স্টলের সংখ্যাই বেশি। এর ভেতরে আবার কয়েকজন প্রকাশক একেবারেই স্টল বন্ধ করে বইমেলা থেকে চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বইমেলার শিশু চত্বরের একজন প্রকাশক বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই আমার স্টল বন্ধ করতে হচ্ছে। আমি পরিস্থিতির শিকার। লকডাউনের ফলে স্টলের কর্মীরা আসতে পারছেন না। এরপর ঝড়-বৃষ্টিতেও ক্ষতি হয়েছে অনেক। আর যে সময়ে এখন মেলা, এই সময়ে পাঠক-দর্শনার্থীও আসে না। আর শিশু চত্বর তো একেবারেই ফাঁকা থাকে সব সময়। সব মিলিয়ে বন্ধ করার তুলনায় স্টল চালু রাখলেই আমার ক্ষতিটা বেশি হবে।

এদিকে বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও ঝড়-বৃষ্টি পাশ কাটিয়ে, লকডাউন দূরে ঠেলে প্রকাশকেরা আশা করছেন পাঠক আসবেন এবং একটি সফল বইমেলা হবে। আর সে প্রত্যাশা নিয়েই এখন দিন গুনছেন তারা।

বালাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।