ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সংবিধান শীর্ষক আলোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
বইমেলায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সংবিধান শীর্ষক আলোচনা ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার মূলমঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সংবিধান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।  

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফউজুল আজিম।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাহিদা বেগম এবং কুতুব আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক খুরশীদা বেগম।

প্রাবন্ধিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের লক্ষ্য ছিল এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। কিশোর বয়সে একটি সেবা সংগঠনের মাধ্যমে দেশসেবার যে ব্রতের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন, আন্দোলন, সংগ্রাম, জেল-জুলুম, দাঙ্গা, প্রকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি নানা রকম সংকটপূর্ণ জীবন অতিক্রম করে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তার সফল প্রতিফলন ঘটেছে ১৯৭২ সালে গৃহীত ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’-এর সংবিধানে। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন সংবিধানের রূপকার অ্যালবি স্যাক্স সংবিধানকে একটি জাতির আত্মজীবনী হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁর এই কথাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সংবিধান বাঙালি জাতির আত্মজীবনী আর সেই আত্মজীবনীর রূপকার আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান কোনো আকস্মিক বিষয় নয়। মুক্তিকামী বাঙালির দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের অনিবার্য ফসল বাংলাদেশের সংবিধান, যেখানে বাংলার গণমানুষের স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন বাংলার জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাক স্বাধীনতা ও নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতের মতো বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে আমাদের সংবিধানে।  

সভাপতির বক্তব্যে খুরশীদা বেগম বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ এবং একটি অনন্য সংবিধান। আমাদের সংবিধানে যে মূল দর্শনগুলো উঠে এসেছে সেগুলোই আমাদের পথনির্দেশনা। এই দর্শনকে অনুসরণ করেই আমাদের প্রগতির পথে অগ্রসর হতে হবে।   

এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন রাশেদ রউফ এবং মজিদ মাহমুদ। কবিতা পাঠ করেন কবি মাহবুব সাদিক, নুরুন্নাহার শিরীন এবং চঞ্চল শাহরিয়ার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ফয়জুল আলম পাপ্পু, মীর মাসরুর জামান রনি এবং সুপ্রভা সেবতি।

 সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মৈত্রী শিশুদল’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, সালাউদ্দিন আহমেদ, এম এম উম্মে রুমা ট্রফি, মো. মেজবাহ রানা এবং এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।