ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

ভাষার সঙ্গে স্বাধীনতার মেলবন্ধনে বইমেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২২
ভাষার সঙ্গে স্বাধীনতার মেলবন্ধনে বইমেলা ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। সেই বিকেল, সেই রোদ, সেই ময়দান, সেই জনগণ।

সেদিনের সেই আবেগ এসে মিশেছে যেন আজকের প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলায়।

সোমবার (৭ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীক্ষণে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বা আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালি জাতি মিলিত হয়েছে প্রাণের অমর একুশে বইমেলায়। এ যেন বাংলা ভাষা আন্দোলন আর স্বাধীনতার অনন্য মেলবন্ধন।

অমর একুশে বইমেলায় এবারের প্রতিপাদ্য- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলাপ্রাঙ্গণ এবার সাজানোও হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা মঞ্চ বা এখনকার মূল স্তম্ভকে কেন্দ্র করে।

এ বিষয়ে বইমেলার নকশাকার স্থপতি এনামুল কবির নির্ঝর বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে যে স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতা স্তম্ভ। মেলার নকশায় এবার মূল ভাবনটা ছিল দেশপ্রেম। মেলাটা যেন এক মাস শুধু বই বিক্রির জায়গায় পরিণত না হয়। আমাদের জাতিগত সংস্কৃতি চর্চার যে জায়গাটা আছে, সেটা আমরা কতটা উজ্জীবিত করতে পারি সেই বিষয়টার দিকে নজর রাখা হয়েছে।

বইমেলায় আসা বইপ্রেমী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ঐতিহাসিক দিনে বইমেলায় আসতে পেরে ভালো লাগছে। আজকের এ মেলা সেদিনের সেই দিনটি সম্পর্কেও ধারণা দিয়ে যায়। ২১-এর মতো ৭ মার্চও এ বইমেলাকে আরও নান্দনিক করেছে।

তিনি জানান, বইমেলা থেকে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত কিছু বইও কেনার ইচ্ছে আছে তার।

আর বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রকাশকরা বলছেন, করোনার কারণে পিছিয়ে মেলা শুরু এবং সময় বাড়াতে ভাষার মাসের সঙ্গে স্বাধীনতার মাসের মেলবন্ধনের সৃষ্টি করেছে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন প্রজন্মকে জানানো উচিত। মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ইতিহাস লেখা উচিত। কিশোর ও নারী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লিখতে হবে। তাদের অবদান তরুণদের জানাতে হবে।

এদিকে মেলা ঘুরে দেখা যায়, এবার মেলায় স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পুথিনিলয় প্রকাশনা থেকে বিলুপ্ত কবিরের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, রনি অধিকারের ‘মুজিববাদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, সাহিত্যদেশ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ভুমিকা’, নৈঋত ক্যাফে থেকে শামসুজ্জামান মিলকির ‘বাংলাদেশের উপন্যাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুতত্থান’, অয়নিকা আলপনার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসের ওপর গবেষণা ‘মাহমুদুল হকের উপন্যাস: শিল্পমানস ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনা’, অবসর প্রকাশনা থেকে ড. মকসুদুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম’, শব্দশৈলীর জয়দীপ দের ‘অন্যচোখে একাত্তর’, পার্ল প্রকাশন থেকে তৌফিক আহমেদের সম্পাদনায় ‘ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প’, দীপ মাহমুদের ‘সম্মুখ সমরে কিশোরী মুক্তিযোদ্ধা’ ইত্যাদি নতুন বই প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রকাশনা থেকে নতুন ও পুরনো মুক্তিযুদ্ধের অনেক বই আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।