ঢাকা: দেশের একটি স্বনামধন্য চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের কার্যক্রম বাড়ানো, শিক্ষার্থীদেরকে আরও অধিকহারে আকৃষ্ট করা, অন্যান্য নিয়োগকারীদের চেয়ে নিজেদেরকে আলাদাভাবে তুলে ধরা এবং চাকরিপ্রার্থীদের কাছে নিজেদেরকে ‘পছন্দের নিয়োগদাতা’ ও 'স্বপ্নের নিয়োগদাতা’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-ই হলো শ্রেষ্ঠ উপায়।
‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ ইউনিলিভার বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কেস কম্পিটিশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক শেষবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে ‘বাস্তব ব্যবসার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা’ দেওয়া এই প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্দেশ্য। বাস্তব জীবনের ব্যবসায়িক প্রয়োজন ও চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতার নতুন নতুন থিম নির্ধারণ করা হয়।
এই প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড ছাড়া অন্য রাউন্ডগুলোতে অংশগ্রহণকারী দলগুলো বিভিন্ন ভেন্যুতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দলগতভাবে প্রেজেন্টেশন দিয়ে থাকে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের প্রতিযোগিতাটি ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজন করা হয়।
তবে, এবারের প্রতিযোগিতাটি অংশগ্রহণকারীদেরকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমের পাশাপাশি সশরীরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহণের পাশাপাশি তথ্যকেন্দ্র ও তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম ব্যবস্থাপনাসমূহ ওয়ান-স্টপ ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রতিযোগিতা শুরুর পরবর্তী এক দশকে বিজমায়েস্ট্রোজের জন্য নানান ধরনের থিম নিয়ে আসে। বিগত বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুর্দান্ত সব আইডিয়া পাওয়া গেছে। এসব আইডিয়ার মধ্য থেকে সেরা আইডিয়াগুলো ইউনিলিভার প্রকৃত অর্থেই ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে। ফলে এই প্রতিযোগিতা এখন ইউনিলিভার বাংলাদেশের কার্যক্রমের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবছর বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলকে ‘ফিউচার লিডারস লিগ’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মঞ্চে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত ইউনিলিভারের এই ধরনের প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলগুলো অংশ নিয়ে থাকে। অতীতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়ও ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
বিজমায়েস্ট্রোজের ভিশন হলো, বাংলাদেশের শিক্ষিত যুবসম্প্রদায়ের সামনে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া, যাতে তারা দলবদ্ধভাবে এগিয়ে আসে, একটি কাঠামোগত পদ্ধতির আওতায় প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় এবং নিজেদেরকে আগামী দিনের নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিজমায়েস্ট্রোজের আরও একটি ভিশন হচ্ছে-মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ব্যবসায়ের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া এবং ইউনিলিভারের ট্যালেন্ট পাইপলাইনের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া সুযোগ দেওয়া। এরফলে ইউনিলিভারের শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ইন্টার্নশিপ থেকে ইউনিলিভারের অন্যান্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই প্রতিযোগিতা যাদের জন্য:
দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো বিষয়ে সম্মান শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তিনজনের একটি দল গঠনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। যারা দক্ষতার সঙ্গে চাপের মধ্যেও কাজ করার সক্ষমতা ও নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন।
রেজিস্ট্রেশন ও কেইস সাবমিশন:
বিজমায়েস্ট্রোজের প্রথম রাউন্ড হবে মূল্যায়নমূলক রাউন্ড। এই পর্বে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগী দলগুলোকে অনলাইনে ভিডিও উপস্থাপনা দিতে হবে। এই পর্বেই বিজমায়েস্ট্রোজের প্রতিযোগিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে (তিন জন) নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে একটি পাঁচ মিনিটের ভিডিওতে তাদের বিজনেস আইডিয়ার ওপর সমাধান উপস্থাপন করতে হবে।
সম্ভাব্য বিষয়: নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের প্রেক্ষাপটে কি ধরনের বড় পরিবর্তন ঘটছে তা নির্ণয়। এই অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ইউনিলিভার কিভাবে তার ক্যাম্পেইন পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনের উদ্দেশ্য সাধন করবে?
সেমিফাইনাল: প্রথম রাউন্ডের ফল ঘোষণার পরপরই ৩০টি দল দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য তাদের কেইস পেয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে মেন্টরিং সেশন বা পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। এ সময় ইউনিলিভারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবেন, যিনি প্রাসঙ্গিক বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন। দ্বিতীয় রাউন্ড হবে মূলত একটি লাইভ প্রেজেন্টেশন। এতে প্রতিযোগী দলগুলো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আলাদাভাবে ইউনিলিভারের মূল্যায়নকারীদের সামনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাইক্রোসফট টিম/জুম বা সমজাতীয় কোনো ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রেজেন্টেশন দিবেন। এরপর ইউনিলিভারের মূল্যায়নকারী সেটি মূল্যায়র করবেন।
সম্ভাব্য বিষয় হবে, ভোক্তাদের সামনে এখন ত্বকের পরিচর্যাকারী পণ্যের প্রচুর সম্ভার রয়েছে, যেখান থেকে তাদের পণ্য পছন্দের অনেক সুযোগও আছে। সেজন্য নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে ইউনিলিভার কিভাবে তার স্কিন কেয়ার প্রডাক্টস বা ত্বক পরিচর্যার পণ্যসামগ্রীর বাজার উন্নয়ন, তথা বিপণন বৃদ্ধির কৌশল নিতে পারে?
গ্র্যান্ড ফিনালে:
দুটি দলের ছয় জন শিক্ষার্থী শেষমেশ ফাইনাল রাউন্ডে উঠবেন। তাদের নিয়ে কোনো ভেন্যুতে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে সীমিতসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। দুই দলকেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের উদ্ভাবিত সমাধান জমা দিতে হবে এবং সেটি উপস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি যে সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, সেখানে উভয় দলকে তাদের সমাধান উপস্থাপন করতে হবে। ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের আগে ফাইনালিস্টদের জন্য ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে পরিচিতিসহ শিক্ষামূলক ও মেনটরিং সেশনের আয়োজন করা হবে। ফাইনাল প্রেজেন্টেশনে দিন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে অংশগ্রহণকারী, অর্থাৎ প্রতিযোগী দু’টি দল, বিচারক ও আমন্ত্রিত অতিথির জন্য ভার্চুয়াল বিনোদন, অর্থাৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যা ফেসবুকও লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
ইউনিলিভারের বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের বিচারকেরা হলেন: ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার; ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এস এম মিনহাজ; এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী।
টাইমলাইন:
এবারের বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতাকে মোট তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে, যা আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি:
১. তরুণদের উন্নয়নে প্রতিনিধি বাছাই এবং তাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি করা: বাংলাদেশে বিজমায়েস্ত্রোজ হলো সবচেয়ে সুখ্যাতিসম্পন্ন ও মৌলিক বিজনেস কেইস কমপিটিশন। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এদেশে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের কার্যকর প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিযোগিতার মাদ্যমে শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানের চেষ্টা করা হয়, যাতে তারা প্রকৃত ব্যবসায়িক পরিস্থিতি, কর্পোরেট জগতসহ দেশের চাকরির বাজার সম্পর্কে একটি সাম্মক ধারণা লাভ করেন। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী মেধাবীদের এমনভাবে গড়ে তোলা হয়, যাতে তারা সঠিকভাবে ব্যবসায়ের প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত্ব ও পরিস্থিতি দ্রুত বুঝতে সক্ষম হয়। এই প্রতিযোগিতা শুধু ইউনিলিভারের ট্যালেন্ট পাইপলাইনের জন্যই নয়, বরং দেশের কর্পোরেট জগতের জন্যও ভবিষ্যত নেতা তৈরি করছে বলে আমরা মনে করি।
২. যারা বিজনেস ইনোভেশনে অবদান রাখেন: এই বিজনেস কেইস কমপিটিশনের বিভিন্ন রাউন্ডে দু’টি বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয়। বিষয় দুটি হল, সম্ভাব্যতা ও সৃজনশীলতা। প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসায়িক বিষয়ে সম্ভাব্য সর্বোত্তম সলিউশন নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। এই ধরনের সলিউশন বা সমাধানগুলো শুধু যে বড় কোনো ধারণাভিত্তিক তা-ই নয়, বরং দিনশেষে ব্যবসায়ের উন্নয়ন বা বিকাশের প্রকৃত সম্ভাবনাও সেখানে ওঠে আসে। আগে বিজমায়েস্ত্রোজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের অনেকেই নিজেদের আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন করেছেন, যা ইউনিলিভার বাংলাদেশের টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বেশ ভালো অবদান রেখেছে। ওইসব প্রতিযোগীর মধ্যে অনেকেই এখন ইউনিলিভারে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩. ভবিষ্যতের নেতা তৈরি: বিজমায়েস্ট্রোজ শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নিছক একটি প্রতিযোগিতার মঞ্চ নয়। একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিলিভার বিশ্বাস করে যে, এই প্রতিযোগিতা ব্যবসায়কে যথেষ্ট গতিশীলও করে তোলে। যে কারণে ইউনিলিভার এখন সারাবিশ্বেই তরুণদের ব্যবসায়িক উদ্ভাবন ও কাজ শেখার জন্য একটি সর্বোত্তম প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। সেই ধারণা এই প্রতিযোগিতায়ও প্রতিফলিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৪. বিজমায়েস্ত্রোজের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ:
বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতা হলো তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশে কাজ করার প্রবেশদ্বার। এর মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভার লিডারশিপ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম বা ইউএলআইপি (আমাদের ফ্ল্যাগশিপ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম) থেকে শুরু করে ডিসকভারি সেন্টার অব ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস লিগে (ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম) যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতা তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে ইউনিলিভারের ভুবনে প্রবেশের পথ উন্মোচন করে দেয় এবং প্রকারান্তে স্বাগতও জানায়। ইউনিলিভারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুবাদে তরুণেরা অত্যন্ত গতির সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। ফলে তারা ইউনিলিভারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পাইপলাইনে থাকে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে ইউনিলিভার বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকশী হান্ডা বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ হলো অনন্য একটি সুযোগ, যেখানে তারা বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা, ব্যবসায় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন দিক নির্দেশনা, পরামর্শ এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশে যোগদানের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অতীতে আমরা অসাধারণ কিছু তরুণ মেধাবীর সন্ধান পেয়েছি এবং তাদেরকে ভবিষ্যতের যোগ্য কর্পোরেট নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইউনিলিভার আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস প্রধান শামীমা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী। বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে বাস্তব ব্যবসার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেবার পাশাপাশি আরো বেশি দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।
ইউনিলিভার বাংলাদেশর এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড অ্যান্ড ডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইনক্লুসন ম্যানেজার সিবাত নুহাস বলেন, দেশে বিজনেস ইনোভেশনের পথিকৃৎ প্রতিযোগিতা বিজমায়েস্ট্রোজের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানের চেষ্টা করে থাকি, যাতে তারা ব্যবসায়িক পরিস্থিতি, কর্পোরেট জগতসহ দেশের চাকরির বাজার সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা লাভ করেন। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী মেধাবীদের এমনভাবে গড়ে তোলা হয়, যেখানে তারা দ্রুত সঠিকভাবে ব্যবসায়ের প্রকৃত চিত্র বুঝে উঠতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি