ঢাকা: দ্বিতীয়বারের মতো তাপদাহে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ সেই সময় রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড় এনে দিল শান্তির পরশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই সূর্যের প্রখর তাপ ছিল দুপুর পর্যন্ত।
ব্যাপক ধুলিঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। তবে বৃষ্টির তোড় না থাকলেও হিম বাতাসে কেটে যায় তাপপ্রবাহের প্রভাব।
দমকা বাতাসের সময় পথচারীদের এদিক-ওদিক ছুটতে দেখা যায়। অনেকেই আশ্রয় নেন বিভিন্ন দোকান-ছাউনিতে।
অন্ধকার নেমে আসায় সড়কে গাড়িগুলোকেও চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে। আবহাওয়াবিদ সকালেই জানিয়েছিল রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই আভাসকে সত্যি করে দিয়েই নেমে এসেছে ঝড়-বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, আগামী তিনদিনের শেষের দিকে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঝড়ে তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে এপ্রিলের দ্বিতীয় দফার তাপপ্রবাহ চলছে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে গত নয় বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। এরপর ১৮ এপ্রিল থেকে কমতে শুরু করে, ২৩ এপ্রিল এসে পুরোপুরি কেটে যায়।
১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া গত ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭৫ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ রেকর্ড এখনো ভাঙেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল
ইইউডি/আরবি