ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তিন ঘণ্টা ভয়াবহ তাণ্ডব চালাবে মোখা

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
তিন ঘণ্টা ভয়াবহ তাণ্ডব চালাবে মোখা

কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে উপকূলে শুরু হয়েছে বাতাস ও বৃষ্টি।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মোখা আরও উত্তর বা উত্তর–পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার (১৪ মে) বিকেলের মধ্যেই এটি কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করবে।  

এক্ষেত্রে দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী তিন ঘণ্টা চলবে ভয়াবহ তাণ্ডব। তবে সেটি মিয়ানমারের দিকেই বেশি হবে।

আজ সকাল পৌনে ১০টায় দেওয়া ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মোখা তাণ্ডবে আজ দুপুর ১২টার পর কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝোড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। আর বিকেলের মধ্যে মোখার উপকূল অতিক্রম শেষ হতে পারে।  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ দিয়ে রাখাইন রাজ্যে যাচ্ছে মোখা। এর কেন্দ্রের ব্যস ৭৫ কিলোমিটার। তাই ঝড়ের কেন্দ্রের কিছু অংশ সেন্ট মার্টিনকে ছুঁয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সকালে সেখানে বাতাসের গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার পেয়েছি। এটা বিকেল ৩টা দিকে হয়তো ১০০ কিলোমিটারের বেশি হয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মায়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩ 
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।