বরিশাল: দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া ওয়াটার লেভেলের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া বরিশালের হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানিও বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে বিকেলে ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ভোলা খেয়াঘাটের তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরগুনার আমতলীর বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১০ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৩৮ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪৮ সেন্টিমিটার ও বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ২৬ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে বরিশালের উজিরপুরের স্বরূপকাঠি, গৌরনদীর টরকি, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, কাইটপাড়ার লোহালিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেলেও ভাটায় আবার নেমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৩
এমএস/আরবি