বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে বরগুনার ছয় উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়। বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানি জোয়ার স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ প্রভাবে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি; জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ঢাকা আবহাওয়া অফিস। পানি বাড়ার আশঙ্কায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চর অঞ্চলের জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে বরগুনা জেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য ৬৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া চাল, শুকনা খাবার, প্যাকেট বিস্কুট, টিন হাতে আছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক তৃতীয় অংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, ৭ নম্বর ঢলুয়া , আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
আরআইএস