ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় হামুন: পটুয়াখালীতে ৭৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় হামুন: পটুয়াখালীতে ৭৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

পটুয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল হামুন।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত বা বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ মেঘনা মোহনা হয়ে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৯টায় ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সভা করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।  

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাসহ রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি, স্কাউট, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।

পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, বিদেশি দুটি মাদার ভেসেল বহির্নোঙর করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব জাহাজগুলো নিরাপদে নোঙর করে সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, রেডক্রিসেন্ট থেকে পানি, শুকনো খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য জেলা পরিষদের সব স্থাপনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ তৎপরতা কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৭০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৩৫টি মুজিব কিল্লাসহ ৭৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে প্রায় চার লাখ মানুষ ও এক লাখ গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া ৮২টি মেডিকেল টিম, প্রায় নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ১০ লাখ টাকা এবং ৬০০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, জেলার ২০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।